
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি'র) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ একটা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা তাদের দলীয় অবস্থানের বিষয়ে বলেছেন। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র পক্ষ থেকে যে সংস্কার বিষয়ক অবস্থান তা আমরা জানিয়েছি। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ের প্রেক্ষিতে যে সরকার গঠিত হয়েছে। তার সংস্কার ও তার বিচার তার অন্যতম কমিটম্যান্ট জনগণের কাছে। যার ফলে মৌলিক সংস্কারের ভিত্তি এই সরকারের সময়ে তৈরি করতে হবে এবং সকল রাজনৈতিক দল মিলে যে ঐক্যমত পোষন করতে হবে। যে জুলাই সনদের কথা বলা হয়েছে। সংস্কারের যে কমিটম্যান্ট বা সংস্কারের যে ধারাবহিতকতা সেটার বাস্তবায়নের জন্য আমরা জুলাই সনদের দ্রুত বাস্তবায়নের কথা বলেছি। সংবিধান সংস্করনের যে অবস্থান আমাদের গণপরিষদের মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার করতে হবে। অন্যথায় পার্লামেন্টের সংবিধান সংস্কার টেকসই হবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে একটা সংস্কারের প্রক্রিয়া হিসেবে দেখি। সংস্কারের ধারাবাহিকতা হিসেবে দেখি। কোন রকম সংস্কার ছাড়া বা সংস্কার বিহীন নির্বাচন কোন কাজে দিবে না। এক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলগুলো এক মত পোষন করেছে। আর এখানে মত পার্থক্যগুলো হলো কোন সংস্কার কখন হবে। কোনটা নির্বাচনের আগে হবে। আর কোনটা নির্বাচনের পরে হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বৈঠকে বিস্তারিত আলাপের সুযোগ ছিল না। আমরা সংস্কারের বিষয়ে সার্বিকভাবে আলোচনা করেছি। গণপরিষদ ও নির্বাচন ছাড়া মাধ্যমে নতুন সংবিধানই কখনো টেকসই হবে না। আর সেই জায়গা থেকে আমরা গণপরিষদ নির্বাচন চাচ্ছি। আর বিচারের বিষয়টা জানিয়েছি। সার্বিকভাবে আমরা ইউএনকে ধন্যবাদ জানিয়েছি যে জুলাই গণঅভ্যুথান ও তার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে নানাভাবে সহযোগীতা করার জন্য।
শহীদ