
ছবিঃ সংগৃহীত
চ্যানেল 24-এর সাপ্তাহিক আয়োজন "ইস্পাহানি মির্জাপুর চা নিবেদিত মুক্তকণ্ঠ"-এ "গুজব ও অপপ্রচার—কার লাভ, কার ক্ষতি?" শীর্ষক আলোচনায় এএফপির ফ্যাক্ট-চেক এডিটর কদরুদ্দিন শিশির বলেন, "বর্তমানে বাংলাদেশে মোটা দাগে তিন থেকে চার ধরনের অপতথ্য বা মিসইনফরমেশন ছড়ানো হচ্ছে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চালানো হচ্ছে।"
তিনি বলেন, "এই অপপ্রচার দুটি ভাগে বিভক্ত: প্রথমত, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি সংশ্লিষ্ট অপতথ্য, এবং দ্বিতীয়ত, বহিরাগত অপপ্রচার, বিশেষ করে ভারতীয় গণমাধ্যমের মাধ্যমে ছড়ানো ভুয়া তথ্য।"
কদরুদ্দিন শিশির জানান, "বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্টেকহোল্ডাররা—সরকার, বিএনপি-জামায়াত, এনসিপি এবং কিছু ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে। এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমন্বিত অপপ্রচার চালানোর প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠীগুলো এ ধরনের ক্যাম্পেইনের সঙ্গে জড়িত।"
তিনি আরও বলেন, "নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, এসব অপপ্রচার তত বাড়বে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালকে ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।"
কদরুদ্দিন শিশির বলেন, "নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত, একাধিক পক্ষের মধ্যে 'কাউন্টার ডিসইনফরমেশন ক্যাম্পেইন' লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি-জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর সমর্থকরা নিজেদের অবস্থান জোরদার করতে একে অপরের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছে।"
ইমরান