
ছবিঃ সংগৃহীত
একজন বাবার কান্না, তার অক্ষমতার প্রকাশ—আছিয়ার জন্য এই প্রথম অঝোরে কাঁদলেন তিনি। যে বাবার কঠোরতা ছিল জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই বাবাই আজ ভেঙে পড়েছেন, আছিয়ার চলে যাওয়ায়।
"এত কিছু কেন হলো আমার সঙ্গে? আমি কি এমন করেছিলাম?"—বাবার কণ্ঠে অসহায়ত্ব।
কথাগুলো এলোমেলো, আবেগে জর্জরিত। এক মুহূর্তের ভুল, কিছু অপ্রকাশিত কষ্ট, হয়তো কিছু অজানা অতীত—সব মিলিয়ে যেন নিজেকেই দোষারোপ করছেন তিনি।
"আমি কি খারাপ? আমি কি সত্যিই এত খারাপ?"
নিজেকেই প্রশ্ন করছেন বারবার, যেন নিজের বিচার নিজেই করতে চান। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন, মুখ লুকিয়েছেন দরজার পাশে, যেখানে একসময় আছিয়া দাঁড়িয়ে থাকত।
আছিয়ার চলে যাওয়া কি শুধুই শূন্যতা, নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে কোনো না বলা গল্প?
বাবার চোখের জল হয়তো সেই উত্তর জানে, কিন্তু এই প্রথমবারের মতো তিনি শুধু কাঁদছেন... কোনো উত্তর খুঁজছেন না।
দুই দফা জানাজার পর চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে মাগুরার ধর্ষণ ও নিপীড়নের শিকার হয়ে মারা যাওয়া আছিয়াকে।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে মাগুরার নোমানী ময়দানে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বাদ এশা সোনাইকুন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়। শেষে সোনাইকুন্ডি সম্মিলিত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ইমরান