
ছবিঃ সংগৃহীত
দেশজুড়ে বেড়েছে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা, এর প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে ধর্ষণবিরোধী বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণী পেশার মানুষ। একই দাবিতে দীর্ঘ ১৩ বছর পর রাজপথে দেখা যাচ্ছে গণজাগরণ মঞ্চের আলোচিত সেই লাকি আক্তারকে। এরই মাধ্যে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ খবর ছড়িয়েছে দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত হয়েছেন ছাত্র ইউনিয়নের এই নেত্রী। কিন্ত সত্যিই কি তাই নাকি গুজব!
ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের সংগ্রামী কণ্ঠ লাকি আক্তার নিহত, ১৩ মার্চ স্বাধীন নিউজ নামে একটি ওয়েবসাইটে শীর্ষক শিরোনামে এমন একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
যেখানে স্বাধীন নিউজ জানায়, বাংলাদেশের অন্যতম সংগঠক ও অধিকারকর্মী ১২ই মার্চ রাত ১২টায় দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত হয়েছেন। রাজধানীর শাহবাগে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের এক সভা শেষে বাড়ি ফেরার পথে একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী তাকে ছুরি ও লাঠিসোঁটা দিয়ে আঘাত করে৷ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এরপরেই লাকি আক্তারের নিহত হওয়ার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পরে, আর এ বিষয়টি নজরে আসে ফ্যাক্ট চেক প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের।
রিউমার স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, স্বাধীন নিউজের ওই প্রতিবেদনটিতে চিকিৎসক ও পুলিশের কোন বক্তব্য দেয়া হয়নি। এমনকি কোন হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল বা কোন স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল সে বিষয়েও উল্লেখ করা হয়নি। এছাড়া স্বাধীন নিউজ ওয়েবসাইটটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ওই ওয়েবসাইটটি একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট।
রিউমার স্ক্যানার আরো জানায়, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে আন্দোলনকারীর লাকি আক্তারের মৃত্যুর দাবিটি সঠিক নয়। বরং কোনো তথ্য প্রমাণ ছাড়াই আলোচিত দাবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানের শুরুতে প্রাসঙ্গিক কী ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যম ও বিশ্বস্ত সূত্রে এই সংক্রান্ত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। সুতরাং ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে আন্দোলনকারী লাকি আক্তার মারা যাওয়ার সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
রিফাত