
ছবিঃ সংগৃহীত
সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ তার একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, কিছু কিছু ঘটনা উল্লেখ করি যে, আমাদের সামাজিক পারিবারিক অবক্ষয়। সেই সাথে নানা মানসিক দুশ্চিন্তা, অর্থনৈতিক কিংবা নৈতিক। এর ফলে পরিস্থিতি অনেক ভয়াবহ হচ্ছে।
মোস্তফা ফিরোজ বলেন, একটি ঘটনা বলছি, গণমাধ্যমে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়েছে "স্ত্রীকে ফোনে রেখে বিদায় বলে ট্রেনের নিচে ঝাপ দিলেন স্বামী"। গাজীপুরের শ্রীপুরে স্ত্রীকে ফোন করে ‘বিদায়’ বলেই চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন খাইরুল বাশার সুজন (৩৫) নামের এক পোশাক শ্রমিক। পরে ট্রেন চলার শব্দ পান খাইরুলের স্ত্রী। দীর্ঘক্ষণ তিনি লাইনে থেকেও আর খাইরুল বাসারের কণ্ঠ শুনতে পাননি।
পারিবারিক সূত্র জানায়, শ্রীপুরের চন্নাপাড়া গ্রামে খাইরুল বাসারের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী মোসা. ফাতেমাও থাকেন। সকালে খাইরুল বাসার ভাড়া বাড়ি থেকে বের হন। এরপর সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও তিনি বাড়িতে ফিরছিলেন না। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় স্ত্রী ফোন করলে খাইরুল বাসার জানান তিনি শ্রীপুর রেলস্টেশনে আছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্ত্রীকে ফোন করে তিনি বলেন, ‘বিদায়’।
মোস্তফা ফিরোজ বলেন, বহু পরিবার এমন ঘটনায় জ্বলছে। এই পরিবারগুলো কীভাবে চলছে আমরা জানি না। কিন্ত ভিতরে ভিতরে পারিবারিক অবক্ষয়, অর্থনৈতিক ও পারিপার্শ্বিক সঙ্কটে মানুষ যে অস্থির হয়ে আছে তার বহিঃপ্রকাশ একটা ভয়াল রুপ নিচ্ছে।
আমরা প্রায়ই দেখি মানুষের সামাজিক অবক্ষয়, মানুষের কষ্ট, যন্ত্রণা ও আত্মহত্যা করার যে প্রবণতা এগুলো আমাদের রুখতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে।