ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে জাতিসংঘ মহাসচিব

আমি সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাতে এসেছি

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:৫০, ১৪ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২২:৫২, ১৪ মার্চ ২০২৫

আমি সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাতে এসেছি

প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা (এফডিএমএন) সম্প্রদায়ের সঙ্গে ইফতার মাহফিলে মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন

বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেছেন এবং দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বসবাসরত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য মানবিক সহায়তা কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী সাক্ষাতে তিনি এই উদ্বেগের কথা জানান।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি বাংলাদেশ অত্যন্ত উদার। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাচ্ছে বলে হতাশা প্রকাশ করেন। আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘আমি সংস্কার প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের úূর্ণ প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করতে চাই।  আমরা এখানে আপনাদের সংস্কারকে সমর্থন জানাতে এসেছি। আমরা আপনার মঙ্গল কামনা করি। আমরা কী করতে পারি, আমাদের তা জানান।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সংস্কার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং দেশের ‘সত্যিকারের পরিবর্তন’ ঘটাবে। তিনি বলেন, আমি জানি, সংস্কারের প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে। গুতেরেস মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসে মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করতেও তিনি এখানে এসেছেন বলে জানান।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত ১২ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা হ্রাসে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘আমি কোনো জনগোষ্ঠীকে এতটা  বৈষম্যের শিকার হতে দেখিনি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের ভুলে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ত্রাণ কাটছাঁট একটি অপরাধ, পশ্চিমা দেশগুলো এখন প্রতিরক্ষা ব্যয় দ্বিগুণ করছে এবং বিশ্বজুড়ে মানবিক সহায়তা সংকুচিত হচ্ছে।’ গুতেরেস রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের ‘অশেষ কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করেন। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি বাংলাদেশ অত্যন্ত উদার। রোহিঙ্গারা আমার কাছে একটি বিশেষ কেস। 
এমন একটি সংকটময় সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘এর চেয়ে ভালো সময়ে আপনি আসতে পারতেন না। আপনার এই সফর শুধু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য নয়, বাংলাদেশের জন্যও সময়োপযোগী।’
প্রধান উপদেষ্টা সংস্কার প্রক্রিয়া সম্পর্কে গুতেরেসকে অবহিত করে বলেন, প্রায় ১০টি রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জমা দিয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দলগুলো যখন ছয়টি কমিশনের সুপারিশ মেনে নিতে সম্মত হবে, তখন তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, যা হবে দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং রাজনৈতিক, বিচার বিভাগীয়, নির্বাচনী, প্রশাসনিক, দুর্নীতিবিরোধী ও পুলিশ সংস্কার বাস্তবায়নের নতুন নকশা।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কারের ‘একটি সংক্ষিপ্ত প্যাকেজে’ সম্মত হলে ডিসেম্বরে নির্বাচন হতে পারে, তবে দলগুলো যদি সংস্কারের ‘বৃহত্তর প্যাকেজ’ মেনে নেয় তবে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান উপদেষ্টা এ সময় ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী’ অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তাঁর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমিতে মর্যাদার সঙ্গে প্রত্যাবর্তন এবং ইতোমধ্যে ১২ লাখ শরণার্থীর জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য ও মানবিক সহায়তা সংগ্রহে মহাসচিবের সমর্থন কামনা করেন। তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুর্দশার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। বিশ্ববাসীর জানা উচিত তারা কীভাবে কষ্ট পাচ্ছে। 
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন এবং রোহিঙ্গাদের অগ্রাধিকার দিয়ে তাদের পক্ষে সমর্থন আদয়ের চেষ্টা করবেন। গুতেরেস বিশ্বের গোলযোগপূর্ণ কিছু অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে বাংলাদেশ শান্তিরক্ষী বাহিনীর অবদানের প্রশংসা করেন।
‘বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী বাহিনী আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ’ উল্লেখ করে তাদের কর্মপ্রচেষ্টা ‘অসাধারণ’ বলে জানান জাতিসংঘ মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি সুন্দর বিশ্ব গড়ার জন্য সামনের সারিতে কাজ করছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করে বলেন, এসব দায়িত্বে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনী অনন্য অভিজ্ঞতা লাভ করে। তিনি বলেন, ‘সেনা মোতায়েন আমাদের কাছে অনেক কিছু।’ ভূরাজনীতি এবং সার্কের অবস্থা এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পায়, যেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক ফোরামকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তাঁর প্রচেষ্টা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আসিয়ানের সদস্য হতে চায়। প্রধান উপদেষ্টা হিমালয়ের দেশগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ জলবিদ্যুৎ আমদানির জন্য বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও ভারতকে সম্পৃক্ত করে একটি দক্ষিণ এশিয়া গ্রিড  তৈরির প্রস্তাব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, নেপাল ও ভুটান এবং ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশকে সংযুক্ত করে দেশকে একটি ‘অর্থনৈতিক কেন্দ্রে’ রূপান্তরের লক্ষ্যে বাংলাদেশ দেশের চট্টগ্রাম অঞ্চলে বেশ কয়েকটি বন্দর নির্মাণ করছে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চীন ও জাপানসহ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।
অর্থনীতির অবস্থা সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তাঁর সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি পেয়েছে যেখানে একটি ভঙ্গুর ব্যাংকিং খাত রয়েছে, রিজার্ভ হ্রাস পেয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। তবে অর্থনীতি এখন সুসংহত হয়েছে। কয়েক মাস ধরেই রপ্তানি বাড়ছে।  বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ভালো।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি এমনভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বাংলাদেশ আগামী বছর স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, এলডিসি গ্রাজুয়েশনের জন্য আমরা পূর্ণ প্রস্তুতি নিচ্ছি।
প্রধান উপদেষ্টা বিগত সরকারের নেতৃত্ব ও তার সংশ্লিষ্টদের চুরি যাওয়া হাজার হাজার কোটি ডলার ফিরিয়ে আনতে তার সরকারের প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ১৬ বছর ধরে চলা  স্বৈরশাসনে প্রায় ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার পাচার হয়েছে। আমরা টাকা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছি। তবে এটি একটি জটিল ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এটি তাকে ১৯৭৪ সালের পর্তুগালে বিপ্লবের দিনগুলোতে তার সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়।
প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কাজের জন্য মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভেলকার তুর্ককে ধন্যবাদ জানান, যা শেখ হাসিনা সরকারের নৃশংসতা ও সম্ভাব্য মানবতাবিরোধী অপরাধ নথিভুক্ত করেছে। তিনি বলেন, ‘তিনি একটি চমৎকার কাজ করেছেন। নৃশংসতা সংঘটিত হওয়ার ঠিক পরেই তারা অপরাধগুলো নথিভুক্ত করেছিল। তারা আবার ফিরে আসুক এবং আরও কাজ করুক।’
 বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান ও সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাবাব ফাতিমা এবং বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস  বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
গুতেরেসের সঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক ॥ জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের  সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌফিক হোসেন এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ইস্যু ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান পৃথক পৃথক বৈঠক করেছেন। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কাজের সমর্থন এবং মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার জন্য ড. ইউনূস সরকারের প্রশংসা এবং রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও সাহায্যের আহ্বান জানানো হয়। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রশংসাও করেন তিনি। শুক্রবার সকালে রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বৈঠকের পর জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের সংস্কার ও পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় সংহতি প্রকাশ করেন আন্তোনিও গুতেরেস। সংস্থাটির মহাসচিব ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশের চলমান পরিবর্তন ও সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা  করেন। গুতেরেস বাংলাদেশের সংস্কার ও পরিবর্তন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন।
আন্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘ ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি বাংলাদেশের উদারতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষায় দৃঢ় প্রতিশ্রুতির জন্যও বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান মহাসচিব।
জাতিসংঘের বার্তায় বলা হয়, মহাসচিব ও বিশেষ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা ও অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর আসন্ন উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন নিয়ে আলোচনা করেন। পরে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে বৃহস্পতিবার চারদিনের সরকারি সফরে বাংলাদেশে আসেন গুতেরেস। সফরসূচি অনুযায়ী, জাতিসংঘ মহাসচিব অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শনে যান। সেখানে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতারেও যোগ দেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব দুর্দশাগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান। আজ (শনিবার) জাতিসংঘ মহাসচিব ঢাকার জাতিসংঘ কার্যালয়ে একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন। সেখানে তরুণ প্রজন্ম ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানান জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র। একইদিন বিকেলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন গুতেরেস। পরে তিনি প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণে একটি ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেবার কথা রয়েছে তার। চারদিনের সফর শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব আগামী ১৬ মার্চ সকালে ঢাকা ত্যাগ করবেন।

আরো পড়ুন  

×