ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

ভিড় বাড়ছে শপিং মলগুলোতে, কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী

আল জুবায়ের

প্রকাশিত: ১৫:৩৮, ১৪ মার্চ ২০২৫

ভিড় বাড়ছে শপিং মলগুলোতে, কেনাকাটায় ব্যস্ত নগরবাসী

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সন্ধ্যা নামতেই রাজধানীর ফুটপাত থেকে শুরু করে নামীদামি বড় শপিং মলগুলোতে লেগে যাচ্ছে ভিড়। দেখতে দেখতে শেষ হয়েছে ১২ রমজান, তাই কেনাকাটার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন নগরবাসী। বিশেষ করে যারা আগেভাগেই গ্রামে যাবেন বা রমজানের শেষ ভাগে যাদের কর্মব্যস্ততা বেড়ে যাবে, তারা বেশিরভাগই শুরু করে দিয়েছেন কেনাকাটা।

ঈদ মানেই আনন্দ, নতুন পোশাক, আর কেনাকাটার উৎসব। রাজধানীর সবচেয়ে ব্যস্ততম বিপণি কেন্দ্রগুলোর মধ্যে নিউমার্কেট অন্যতম। শুধু নিউমার্কেটই নয়, এর আশপাশের এলিফ্যান্ট রোড, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নীলক্ষেত, গাউছিয়া মার্কেট, নূর ম্যানশন মার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট, নুরজাহান সুপার মার্কেট ও গ্লোব শপিং সেন্টারসহ হাজারো বিপণিবিতানে ঈদের কেনাকাটার ধুম লেগেছে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের আরও ১৭ দিন বাকি থাকলেও বেচাকেনা পুরোপুরি শুরু হয়ে গেছে। রোজার শুরু থেকেই কিছু ক্রেতার উপস্থিতি থাকলেও এখন কেনাকাটার ভিড় ক্রমেই বাড়ছে। তারা আশা করছেন, ঈদের কাছাকাছি সময়ে বিক্রি আরও বেড়ে যাবে।

নগরীর বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসও ঈদকে কেন্দ্র করে সেজেছে নানান বাহারি পোশাকে। পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, শার্ট-প্যান্ট, টি-শার্ট ও শিশুদের পোশাকে আনা হয়েছে নতুনত্ব।

ধানমন্ডি হকার্স মার্কেটে শাড়ি কিনতে আসা মোহিনী আক্তার বলেন, “শাড়ির জন্য এই মার্কেটটিকে আমার কাছে সেরা মনে হয়। এখানে সব ধরনের শাড়ি পাওয়া যায়। নিজের জন্য শাড়ি নিয়েছি, মেয়ের আর ছেলের বউয়ের জন্যও কিনেছি। আরও দেখছি। দাম অন্যান্য বছরের মতো এবারও একটু বেশি। ঈদের সময় তো একটু বেশি হবেই।”

উত্তরা থেকে শপিং করতে আসা মাহফুজা মিশু বলেন, “আগামী সপ্তাহে গ্রামের বাড়ি চলে যাবো, তাই আগেভাগেই কেনাকাটা করতে আসা। পরিবারের সবার জন্য পোশাক কিনছি। এখানে একসঙ্গে অনেক দোকান থাকায় পছন্দমতো কেনাকাটা করা যায়।”

চাঁদনী চক মার্কেটের জামাল ফেব্রিক্সের একজন বিক্রেতা জানান, “এবার ঈদে নির্দিষ্ট কোনো জামার প্রতি তীব্র চাহিদা না থাকলেও পাকিস্তানি ব্র্যান্ড আগানুর, সাদা বাহার, তাওয়াক্কুল, বিন সাইদ, অর্গানজা মসলিন ও ভারতীয় পোশাকের চাহিদা বেশি।”

এছাড়া, গরমের কারণে ক্রেতারা ভারী পোশাকের পরিবর্তে সুতি ও হালকা পোশাক প্রাধান্য দিচ্ছেন। বাজারে থ্রি-পিস ৬০০ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকা, শাড়ি ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বরাবরের মতো এবারও নারী ও শিশুদের পোশাকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। নিউমার্কেটের তৃতীয় তলা, নুরজাহান মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা এবং সায়েন্স ল্যাব সংলগ্ন এলাকায় ছেলেদের শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট, বাহারি পাঞ্জাবি-পায়জামা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, জুয়েলারি, কসমেটিকস ও ফুটপাতের দোকানগুলোতেও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

নুসরাত

×