
ছবি: সংগৃহীত
ধর্ষণের বিচার প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, "ধর্ষক আর ধর্ষণের বিচার কি শাহবাগ আর শাপলা চত্বরের মাঝপথে হারিয়ে যেতে বসেছে?" এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে তাজিকুজ্জামান রতন বলেন, "আমরা এই বিষয়টাকে নিয়ে নানা ধরনের বিতর্ক তৈরি করছি, যেখানে উচিত ছিল সমাধান করা।"
তিনি আরও বলেন, ধর্ষক এবং ধর্ষণের সংস্কৃতি বন্ধ করা যেমন জরুরি, তেমনই অপরাধীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা দরকার। কিন্তু এই বিষয়টিকে যদি রাজনৈতিক মেরুকরণের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়, তাহলে প্রকৃত সমস্যা আড়াল হয়ে যাবে।
তিনি অতীতের বিভিন্ন আন্দোলনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, "এই দেশ, এই যে আমরা ২৪-এর অভ্যুত্থান করলাম, তখন হাজার হাজার নারী রাস্তায় নেমেছিল। ইতিহাস বলছে, যত আন্দোলনে নারী ও শ্রমিকরা সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়েছে, ততই সেগুলো সাফল্যের মুখ দেখেছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও এমন নজির ছিল।"
তিনি বলেন, ভাষা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান, মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ। অভ্যুত্থানের পরপরই নারীদের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটছে, যা সমাজের জন্য বিপজ্জনক। মানুষ এখন বাইরে বেরোতেও ভয় পায়— কখন যে অপমানিত বা অসম্মানিত হবে! এটা শুধু ব্যক্তির সমস্যা নয়, সমাজ ও অর্থনীতির জন্যও হুমকি।"
নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, "অনেকে বলে, মেয়েদের পোশাক বা আচরণের কারণে তারা লাঞ্ছিত হয়। কিন্তু প্রকৃত প্রশ্ন হলো— ছেলেদের মানুষ করা হচ্ছে কি?
"লড়াই হওয়া উচিত ছিল অপরাধীদের বিরুদ্ধে, কিন্তু বাস্তবে সেটাই আড়ালে চলে যাচ্ছে," বলেন তাজিকুজ্জামান রতন।
শিলা ইসলাম