ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১

সুপেয় পানির জন্য হাহাকার!

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি

প্রকাশিত: ১৭:৩৫, ১৩ মার্চ ২০২৫

সুপেয় পানির জন্য হাহাকার!

অগভীর নলকূপে মিলছে না পানি, তাই সুপিয় পানির জন্য হাহাকার চলছে। ছবি: জনকন্ঠ।

উপজেলায় শুষ্ক মৌসুম শুরু হতে না হতেই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এর ফলে হস্তচালিত নলকূপগুলোতে পর্যাপ্ত পানি উঠছে না এবং পাহাড়ি অঞ্চলগুলোতে সুপিয় পানির জন্য হাহাকার চলছে। টিউবওয়েলে পর্যাপ্ত পানি না ওঠায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলার অন্তত ১ লাখেরও বেশি পরিবার।

খরা মৌসুম পুরোপুরি শুরু হলে উপজেলায় বেশিরভাগ হস্তচালিত নলকূপ অকেজো হয়ে পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

সুন্দরপুর, পাইন্দং, দাঁতমারা, নারায়ণহাট, বখতপুর, ধর্মপুর, ভূজপুর, কাঞ্চননগর এবং রোসাংগিরী ইউনিয়নের অনেক গ্রামে টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না, এমন তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়া, ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভার বিভিন্ন এলাকাতেও টিউবওয়েলে পানি মিলছে না।

দাঁতমারা বাজারের ব্যবসায়ী মো. নুরুল হুদা বলেন, "এখানকার ৫০% হস্তচালিত নলকূপে পানি উঠছে না। বাকি নলকূপগুলোতে অল্প অল্প পানি উঠছে, ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যাচ্ছে না।"

নারায়ণহাটের চান্দপুর এলাকার বাসিন্দা বোরহান জানান, "আমাদের গ্রামে ধান চাষের জন্য দুটি সাবমার্সিবল পাম্প রয়েছে। মূলত এই পাম্পগুলোর কারণে গ্রামের সব হস্তচালিত নলকূপ বন্ধ হয়ে গেছে।"

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পানি উঠছে না এমন নলকূপের সঠিক সংখ্যা তাদের জানা নেই। তাদের বরাদ্দকৃত নলকূপের সংখ্যা দুই হাজারের বেশি। এছাড়া, পুরো উপজেলায় ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত হয়েছে প্রায় দশ হাজার গভীর নলকূপ।

উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী (জনস্বাস্থ্য) রাশেদুজ্জামান বলেন, "শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর প্রায় ৫০ ফুট বা তার বেশি নিচে নেমে যাওয়ায় হস্তচালিত নলকূপে ঠিকমতো পানি উঠছে না। এই সময়টাতে খাওয়ার পানির সংকট দেখা দেয়। নলকূপ বসানোর ক্ষেত্রে ৬০-৮০ ফুট গভীরতা নিশ্চিত করলে শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে গেলেও পানি পাওয়া যাবে।"
 

মারিয়া

×