
ছবিঃ সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে বলেছেন, ৩ আগস্টই বলা হয়েছিল সংবিধান অকার্যকর।
উপস্থাপকের প্রশ্ন ছিল, বর্তমানে যে নিপীড়ন সহিংসতা কিংবা যে ধরনের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এটি নির্বাচিত সরকার আসলে সমাধান করে ফেলা সম্ভব নাকি এখন যেই সরকার ব্যবস্থা আছে এই সরকার যে সময়টুকু চাচ্ছে সংস্কারের জন্য এর মধ্যে এগুলো নিরসন করার উপায় আছে?
জবাবে সামান্তা শারমিন বলেন, আজ সারাদিন একটা ঐক্যমতের সময় ছিল, মাঝে আমাদের বিভিন্ন বক্তব্যে আদান-প্রদান ঘটেছে। কিন্ত আমরা দেখলাম এখন আমাদের ভিতর একটা ঐক্যমতের হাওয়া আছে। এটা আসলে এইজন্য ঘটে যে, আমাদের সবারই একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে রাজনীতিতে। গত ১৫ বছরের শাসন আমাদের ওই অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে নিয়ে গেছে। আমরা চাই যেভাবে একটা সুন্দর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়া যায় সেটা দেখতে। এই বাংলাদেশ গঠনের জন্য আমাদের উপর কী কী দায়িত্ব আছে।
সামান্তা বলেন, আমি কিছুদিন ধরে বারবার বলছি যে, ৩ আগস্ট যখন এক দফা দাবির ঘোষণা হলো, যে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, বাংলাদেশে কি এমন কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি বা দল ছিল যারা ওই বক্তব্যের সাথে একমত ছিল না।
বা যখন ওই এক দফা দাবির অববাহিকায় বলা হলো এই সংবিধান আর কার্যকর নয়, এখন যারা মাঝে মাঝে এটার ব্যাপারে আপত্তি তোলে কেন এখন সংবিধানের কথা আসছে, তখন যদি এই কথা আসতো, ফেসবুকে আমরা একটা লেখাও দেখিনি। মাঠে একটা বক্তব্যও শুনিনি, না-সবকিছু ঠিক আছে, এইটার পক্ষে নাই। সংবিধান নিয়ে আপত্তির জায়গা থাকলে তখনও তো বলতে পারতেন। পরিষ্কার ৩ আগস্ট ঘোষণা হয়েছে, এই সংবিধান অকার্যকর।
সামান্তা আরো বলেন, কেন সংবিধানের কথাটা বারবার ঘুরে ঘুরে আসে, তারেক রহমান যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেইটার ভিতর কিছু ভালো পয়েন্ট আছে। কিন্ত আমাদের বক্তব্য হলো, এই কাজগুলো করতে গেলে যে আমূল সংস্কার প্রয়োজন, সেইটার উল্লেখ আসছে না। এইটা যদি আমরা একনলেজ না করি, গঠনের প্রক্রিয়ায়ই ঢুকতে পারব না আমরা।
প্রথমত, আমাদের আইনগুলো খুবই ব্যাকডেটেড। আমাদের আইনের কনসেপ্ট হচ্ছে পেনাল কোডে ১৮৬১ সালে, তখন আসলে কোন শাসনামল চলে। ব্রিটিশ শাসন ছিল তখন, সেই শাসনের উদ্দেশ্যটা কি ছিল। তাদের আইনের ইনটেনশন ছিল এই অঞ্চলের জনগণকে শোষণ করে অর্থ পাচার করবে। এই ইনটেনশনের আইন দিয়ে এখনো বাংলাদেশের মানুষ পরিচালিত হচ্ছে। এই প্রত্যেকটা আইন পরিবর্তন করার জন্য তো সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রয়োজন। কিন্ত আমাদের সংবিধান তো ব্রিটিশ আইনের একটা অপভ্রংশ।
যখন আইনের ইনটেনশন থাকে শাসন করা, শোষণ করা সেই আইন দিয়ে কতদূর কী করা যাবে। বিভিন্ন সংস্কারের জন্য যে সাংবাদিক বাধা আছে সেগুলো কে দূর করবে। আমরা যখন বলি বাধাগুলো দূর করার জন্য বড় রকমের সাংবিধানিক সংস্কার করতে হবে সেটার ম্যান্ডেট কে দিবে আসলে।
রিফাত