ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

ঢাকার ঈদ বাজারে ভারতীয় নয়, শীর্ষে পাকিস্তানি পোশাকের চাহিদা!

প্রকাশিত: ০১:৪৩, ১৩ মার্চ ২০২৫

ঢাকার ঈদ বাজারে ভারতীয় নয়, শীর্ষে পাকিস্তানি পোশাকের চাহিদা!

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার ঈদ বাজারে এবার ভারতীয় পোশাকের চেয়ে পাকিস্তানি পোশাকের চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে। একাত্তর টিভির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, রাজধানীর অভিজাত শপিং মল থেকে শুরু করে গুলিস্তান, নিউ মার্কেট, বসুন্ধরা সিটি, যমুনা ফিউচার পার্ক, চকবাজার ও মৌচাক মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় পোশাকের জনপ্রিয়তা কমে গিয়ে ক্রেতাদের ঝোঁক পাকিস্তানি ও দেশীয় পোশাকের দিকে।

কেন পাকিস্তানি পোশাকের প্রতি আকর্ষণ?

বিক্রেতাদের মতে, পাকিস্তানি পোশাকের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে এর আরামদায়ক ও নান্দনিক ডিজাইন। পাকিস্তানি লনের কাপড়, কটন ও শিফনের থ্রিপিস, সালওয়ার-কামিজ এবং শাড়ির প্রতি নারীদের বিশেষ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। এসব পোশাকের ডিজাইনে রয়েছে সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি, ব্লক প্রিন্ট ও হাতের কাজ, যা ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে উঠে এসেছে।

ভারতীয় পোশাকের জনপ্রিয়তা কমার কারণ

গত কয়েক বছর ধরে ঈদ বাজারে ভারতীয় পোশাকের আধিপত্য থাকলেও এবার সেই চিত্র অনেকটাই বদলেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি হওয়া, একই ধরনের ডিজাইনের পুনরাবৃত্তি এবং পাকিস্তানি লনের তুলনায় ভারী কাপড়ের কারণে ক্রেতারা বিকল্প খুঁজছেন।

একই সঙ্গে দেশীয় পোশাকের জনপ্রিয়তাও কিছুটা বাড়ছে। অনেক ক্রেতা দেশীয় বুটিক ব্র্যান্ডগুলোর দিকে ঝুঁকছেন, যারা দেশীয় তাঁতের কাপড় ও আধুনিক ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে। তবে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, পাকিস্তানি পোশাকের এই জনপ্রিয়তা দেশীয় পোশাক শিল্পের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি

বসুন্ধরা সিটির এক ব্যবসায়ী বলেন, “গত বছর ভারতীয় পোশাক বেশি বিক্রি হলেও এবার ক্রেতারা পাকিস্তানি ব্র্যান্ডের লন কাপড়, এমব্রয়ডারি ও ডিজাইনার ড্রেস বেশি কিনছেন।"

নিউ মার্কেটের আরেক বিক্রেতা জানান, “পাকিস্তানি পোশাকের চাহিদা এত বেশি যে, একবার স্টক শেষ হয়ে গেলে নতুন মাল তুলতে সময় লাগছে। দাম তুলনামূলক বেশি হলেও ক্রেতারা কিনছেন।”

ঈদ বাজার জমে উঠলেও দেশীয় পোশাক ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছেন, দেশীয় পোশাককে জনপ্রিয় করতে হলে ডিজাইনে নতুনত্ব আনতে হবে এবং প্রতিযোগিতামূলক দামে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।

আসিফ

আরো পড়ুন  

×