
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক টকশোতে জানিয়েছেন, “দেশের অর্থনীতি একটা মিরাকল অবস্থানে যাচ্ছে।”
অনেক ব্যবসায়ী বলেন, তারা এখনো পর্যন্ত ঠিক বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত না এবং বলে, যেটা রাজনৈতিক সরকার। ইলেক্টেড গভমেন্ট না আসলে হয়তো তারা ইনভেস্টমেন্টে যাবে না।উপস্থাপকের এমন মন্তব্যে শফিকুল আলম বলেন, “কিন্তু ওরা এই গভমেন্টের থেকে উনারা কিছু বেনিফিট আদায় করতে চান। এইজন্য উনারা অলওয়েজ দেখবেন যে এই ক্রাইসিসের কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন,“আমি কিছু বিজনেসম্যানকে চিনি, আমি ২০ বছর ধরে উনারা কিন্তু গলা কাসছেন। এই কিছুই হচ্ছে না বিজনেস। অথচ যে কোম্পানি পাঁচ মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি ছিল, সেই কোম্পানি কিন্তু এই ২০ বছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের কোম্পানি হয়ে গেছে। কিন্তু তার এই যে অতৃপ্তির যে ভাষাটা সেটা তার যাচ্ছে না। আমার ডেটা কি বলে? আমার ডেটা বলে যে আমার ইকোনমি হ্যাজ মেড এ ম্যাসিভ কামব্যাক। রেমিটেন্সের ক্ষেত্রে এটা হয়েছে, আমাদের রিজার্ভের ক্ষেত্রে হয়েছে এবং আমাদের তিন বছর ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট নেগেটিভ ছিল, সেটা এখন পজিটিভে এসছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা দেখছি যে মারাত্মকভাবে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট কমে গেছে।” উপস্থাপকের এমন মন্তব্যে প্রেস সচিব জানান, “আগের গভমেন্টের কারণে। আপনি আদানির ৯০০ মিলিয়ন ডলার আপনি দেন নাই টাকা। আপনি সেভেনের পাঁচ-ছয়শ’ মিলিয়ন ডলার আপনি টাকা তাকে কোন পেমেন্ট করেন নাই। আপনি বিএটিকে বলছেন যে ‘তুমি প্রফিট বিদেশে নিতে পারবা না’।
তিনি বলেন,“আপনি বাংলাদেশের থেকে এয়ারলাইন্স গুলোরে বলছেন যে ‘আপনি একটা টাকাও বাইরে নিতে পারবা না’। সবাইকে আপনি আটকে রেখেছেন তো তারা যেই যে কোম্পানিগুলো বিদেশী কোম্পানি বাংলাদেশে ইনভেস্ট করবে, সে তো এদের সাথে কথা বলে। সে তো বলবে যে না, ‘এখান থেকে আমি ইনভেস্ট করলে আমি আমার প্রফিট বাইরে নিতে পারবো না। হোয়াই শুড আই ইনভেস্ট হেয়ার?’ আমরা এসে আদানির ৯৫০ মিলিয়ন ডলার ছিল, সেটাকে ৫০০ মিলিয়নের কাছাকাছি এনেছি আমরা, এক বছরের সাথে ছয় মাসের একটা চুক্তি করেছি। আমরা ছয় মাসের মধ্যে তার একদম ড্রাস্টিকালি আমরা কমিয়ে এনেছি। আমরা আপনি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স গুলোর সাথে কথা বলেন, তারা এখন ফ্রিলি তাদের প্রফিটটা রিপ্যাট্রিয়েট করতে পারছে।”
শেষে তিনি বলেন, “আমরা ইকোনমি ইজ ফ্যান্টাস্টিক। আমি তো বলব যে এই সময় যেটা হয়েছে, এটা একটা মিরাকল।”
সূত্র:https://tinyurl.com/4kenj5ej
আফরোজা