
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদু তাঙ্গারার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তাকে জুলাই অভ্যুত্থানের ‘আর্ট অব ট্রায়াম
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বুধবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যার মামলার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। তিনি জানান, তার দেশ বহুল নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের জন্য ন্যায়বিচার আনার চেষ্টা করছে।
মামাদু তাঙ্গারা বলেন, ‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি যে, গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট এই বিষয়টিকে সমর্থন করছেন এবং বিষয়টি দেখছেন। আমরা এই সমস্যাটিকে মূল ধারায় ফিরিয়ে আনতে চাই। গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ও গাম্বিয়ার জনগণ এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিষয়টি তুলে ধরার জন্য এবং মামলাটি সফল করার জন্য আফ্রিকান দেশটির অব্যাহত প্রতিশ্রুতি ও অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য গাম্বিয়াকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমরা চাই এই মামলা সফল হোক। আমরা আপনাদের সমর্থন চাই। এটি আমাদের জন্য একটি বড় সহায়ক।
মামাদু তাঙ্গারা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, আপনার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনে সহায়তা করবে। তিনি বলেন, গাম্বিয়ার ঘরে ঘরে আপনি পরিচিত নাম। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সবসময় আপনার পাশে থাকবে।
গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে নতুন ভূমিকায় প্রধান উপদেষ্টার সাফল্য কামনা করেন। তিনি বলেন, আমরা আপনার মহৎ কাজ এবং চ্যালেঞ্জিং মিশনের সাফল্য কামনা করি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য ত্রাণ সংগ্রহে ঢাকার প্রচেষ্টা এবং বাস্তুচ্যুতদের খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তাসহ রাখাইনে মানবিক সহায়তা এবং সীমান্ত পেরিয়ে আরও বেশি লোকের বাংলাদেশে পালিয়ে আসা বন্ধ করার বিষয়ে তার আহ্বানের কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা দুই দেশের মধ্যে গভীর বাণিজ্য ও সহযোগিতার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা আপনাকে কীভাবে সাহায্য করতে পারি তা আমাদের জানান। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যৌথভাবে কাজ করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরে দুজন সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তাঁরা আফ্রিকার লাখ লাখ মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে এবং মহাদেশটির সহিংসতাপীড়িত কয়েকটি অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে ক্ষুদ্র ঋণের সম্ভাব্যতা নিয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকে রোহিঙ্গা বিষয়ক প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান এবং বাংলাদেশ সরকারের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ উপস্থিত ছিলেন।