ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১

সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে ভিন্ন অবস্থানে তিন পক্ষ

শরীফুল ইসলাম

প্রকাশিত: ২৩:০১, ১২ মার্চ ২০২৫

সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে ভিন্ন অবস্থানে তিন পক্ষ

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনীতিতে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে চলছে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা। নির্বাচনকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিনটি দলই নিজ নিজ কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি বলছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে। জামায়াত বলছে, আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন করে পরে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।

আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বলছে, আগে সংবিধানসহ সকল সংস্কার কাজ শেষ করে দ্বিতীয় রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচন দিতে হবে। তাই নির্বাচন কেন্দ্রিক এই ত্রিশক্তির ভিন্ন অবস্থান এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। 
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এ আন্দোলনে অংশ নেওয়া সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য সুদৃঢ় হয়। দলগুলোর সর্বসম্মত সমর্থনে প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় সংলাপ করে তাদের মতামত নেয় সরকার।

সবার সম্মতি নিয়েই বেশ ক’টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। সংস্কার কমিশনগুলো ইতোমধ্যেই রিপোর্ট পেশ করেছে। আর এই রিপোর্টগুলো সম্পর্কে ৩৪টি রাজনৈতিক দলের কাছে চিঠি লিখে মতামত চেয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। মতামত পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করবে ঐকমত্য কমিশন। এর পরই কি কি সংস্কার হবে এবং নির্বাচন কবে হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়। 
এদিকে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সময় যত যেতে থাকে ততই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মতপার্থক্য তৈরি হতে থাকে। এরই মধ্যে সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি। তারাও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে। কিন্তু দল গঠনের পর বিএনপি ও তাদের সমমনা ক’টি দলের সঙ্গে এনসিপিরও মতপার্থক্য তৈরি হতে থাকে। 
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি এই ত্রিশক্তি তাদের নিজ নিজ রাজনৈতিক কৌশল নিয়ে অগ্রসর হতে থাকে। বিএনপির টপ টু বটমে থাকা নেতাকর্মীরা ধারাবাহিকভাবে দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা বলতে থাকে।

প্রথমে জুনে পরে আগস্টে নির্বাচনের কথা বললেও এই দলটি বর্তমানে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করতে সরকারকে অলিখিত আলটিমেটাম দিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন না হলে তারা রাজপথে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছে। বিএনপির সমমনা দলগুলোও এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে।

বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্বাচন কমিশনকেও ডিসেম্বরে নির্বাচনের প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে চাপ প্রয়োগ করছে। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশন বলছে, ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে তাদের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ পেলে তারা ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে অক্টোবরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করবে। 
এক সময়ে বিএনপির জোটসঙ্গী জামায়াত এখন বিএনপি থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে রাজনীতি করছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় যেতে জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সক্রিয়। কেন্দ্রীয় নেতারা সারাদেশ চষে বেড়াচ্ছেন। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন এলাকায় তারা সভা, সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা করছেন।

তৃণমূল পর্যায়ের নেতারাও পাড়ায়-মহল্লায় নিয়মিত মতবিনিময় সভা করছেন, সাধারণ মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চাচ্ছে জামায়াত। দলটি চাইছে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। জামায়াতের সঙ্গে সমমনা আরও ক’টি ইসলামী দলও একমত পোষণ করেছে। 
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্র্টিও (এনসিপি) এখন পুরোদমে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। তবে তারা চাচ্ছে সংস্কার কমিশনগুলোর দেওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর ওপর জাতীয় ঐকমত্য সৃষ্টি করে আগে সংস্কার কাজ শেষ করতে।

এ জন্য যদি এক-দেড় বছর বেশি সময়ও যায় তাতে তাদের আপত্তি নেই। এছাড়া তারা দ্বিতীয় রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলছেন। এনসিপির সঙ্গে আরও ক’টি রাজনৈতিক দলও একমত পোষণ করছে বলে জানা যায়। 
এদিকে এনসিপির দ্বিতীয় রিপাবলিক প্রতিষ্ঠা ও গণপরিষদ ভোট এবং সকল সংস্কারের পর ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের রাজনৈতিক কৌশলকে বিএনপি মনে করছে নির্বাচন পেছানোর কৌশল। তাই বিএনপির সিনিয়র নেতারা প্রায় প্রতিদিনই এনসিপির সমালোচনা করে বক্তব্য রাখছেন। আবার জামায়াতের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিকেও বিএনপি সন্দেহের চোখে দেখছে। এসব কারণে প্রায় প্রতিদিনই জামায়াতেরও সমালোচনা করছে বিএনপি।

আবার এনসিপি ও জামায়াতের নেতারাও সুযোগ পেলেই বিএনপির সমালোচনা করছে। বিশেষ করে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপি নেতাকর্মীদের বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন বিশৃঙ্খল কর্মকা-ে সম্পৃক্ত হওয়ার ঘটনার সমালোচনা করছেন এনসিপি ও জামায়াত নেতাকর্মীরা। আর এ নিয়েই এখন সারাদেশে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে।

এ সুযোগে কেউ কেউ এটাকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তিন শক্তিশালী রাজনৈতিক দলের মধ্যে ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব চলছে বলেও অভিযোগ করছেন। তবে এই তিনটি দলের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ খ-ন করে বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। প্রতিটি দলই বলছে, তারা নিজ নিজ অবস্থান বজায় রেখে ৩০০ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। 
সূত্র মতে, জামায়াতের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পর জাতীয় নির্বাচনের দাবির বিষয়ে বিএনপি মনে করছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হলে কমপক্ষে এক বছর পিছিয়ে যাবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেক্ষেত্রে ২০২৭ সালের আগে সংসদ নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। দেশে নির্বাচিত সরকার না থাকলে গণতন্ত্র ও উন্নয়ন ব্যাহত হয়। তাই বিএনপি মনে করে দ্রুত নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন।

আর এনসিপির দাবি অনুসারে সকল সংস্কার শেষ করে এবং দ্বিতীয় রিপাবলিক ও গণপরিষদ ভোট প্রসঙ্গে বিএনপি মনে করে এগুলো ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে করতে যাওয়া মানে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করা। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য কিছু সংস্কার কাজ শেষ করে দ্রুত সংসদ নির্বাচন হলে ওই নির্বাচনের পর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বসে ঠিক করবে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য কি কি প্রয়োজন এবং কখন কোনটি করতে হবে।

তাই বিএনপি সেকেন্ড রিপাবলিক, নতুন সংবিধান ও গণপরিষদের দাবির বিরোধিতা করেছে। দলের নেতারা বলছেন, বিএনপি আগেই যে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে ত্রয়োদশ নির্বাচনের পর ক্ষমতায় যেতে পারলে তা বাস্তবায়ন করে রাষ্ট্র মেরামত করবে। এছাড়া বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সমমনা দলগুলোকে নিয়ে সরকার গঠন করবে বলেও দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবেই বলা হয়েছে। 
আর এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচন জনগণের স্বার্থেই দাবি করা হয়েছে। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচন একসঙ্গেই হতে পারে। এটার জন্য কোনো নির্বাচনই পেছাতে হবে না। তবে গণপরিষদ নির্বাচন চাওয়া হয়েছে সংবিধান পরিবর্তন বা নতুন সংবিধান করার ম্যান্ডেট পাওয়ার জন্য। 
জামায়াত স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে চাওয়ার বিষয়ে যুক্তি দেখিয়েছে, বর্তমানে স্থানীয় সরকারের নির্বাচিত প্রতিনিধি না থাকায় জনগণ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত স্থানীয় সরকার নির্বাচন প্রয়োজন। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতাও প্রমাণিত হবে। জামায়াতের এ অবস্থানের কারণে বিএনপি তাদের ওপর ক্ষুব্ধ।

তাই প্রায়ই বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের এ সম্পর্কিত বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মতপার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। তবে বিএনপির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনও বলছে স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে যাবে। এ পরিস্থিতিতে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মহল থেকে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের দাবি উঠছে। 
নির্বাচন নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে যে সংকট চলছে তা নিরসন করতে দ্রুত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রয়োজন। আর অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা। স্থানীয় সরকার নির্বাচন তাদের কাজ নয়। তারা করবে জাতীয় নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনই হবে সবচেয়ে জরুরি এবং আমাদের অগ্রাধিকার। আর এখন গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন হবে এমনটাই বিএনপি চায়।
নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের অবস্থান সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে সম্প্রতি দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, দু’টি কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে হওয়া দরকার। কারণ এখন সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও পৌরসভাসহ কোনো স্থানীয় সরকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নেই।

এর ফলে নাগরিক সেবা না পাওয়ায় মানুষ জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। আরেকটা কারণ হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়, তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। 
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন গণমাধ্যমকে জানান, গণপরিষদ নির্বাচনের বিষয়টি বিএনপি যেভাবে দেখছে এটি সে রকম নয়। সংবিধান পুনর্লিখনের জন্য গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন। এটি এনসিপির প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য। গণপরিষদ নির্বাচনে যারা জিতে আসবেন, সংবিধান প্রণয়নের পর তারাই আইনসভায় রূপান্তরিত হয়ে যাবেন। এটি হলে এখানে স্বল্প বা দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমস্যাই হবে না।
বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক ত্রিশক্তির সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভিন্ন অবস্থান সম্পর্কে অতিসম্প্রতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন তার অবস্থান তুলে ধরেছেন। আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, নির্বাচনী ট্রেনের হুইসেল প্রধান উপদেষ্টা বাজিয়ে দিয়েছেন।

ডিসেম্বরেই আমাদের ভোট আয়োজনের টার্গেট। আমরা দল নিবন্ধন ও ভোটার নিবন্ধন কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। আমরা শীঘ্রই নির্বাচন সামগ্রী ক্রয় প্রক্রিয়ায় যাচ্ছি। বিদেশী পর্যবেক্ষক নীতিমালাও ঠিক করা আছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে যথাসময়ে পর্যবেক্ষক আসার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেব আমরা।
ডিসেম্বরে ভোট করতে হলে তো অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আমরা যাতে ওই টাইমলাইনটা মিস না করি সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

×