
জাতীয় দৈনিক নিউজ এজ এর সম্পাদক নূরুল কবীর এক টকশোতে নারীর প্রতি সম্মান, সামাজিক সমতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “নারী এবং পুরুষের সমান অধিকার রয়েছে, তবে এই দুইয়ের মধ্যে প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য থাকলেও বিভেদ একেবারেই নেই। একজন আরেকজনের ব্যাপারে কম পাওয়ারফুল কিংবা বেশি পাওয়ারফুল হিসেবে দেখবার কোন কারণ নেই।”
নূরুল কবীর আরও বলেন, “এটা অত্যন্ত জরুরি যে, নারী এবং পুরুষের মধ্যে এই চৈতন্যের বিকাশ ঘটে, এবং সেটার জন্য আমাদের সকলের দায়িত্ব রয়েছে। রাষ্ট্রও এই দায়িত্ব পালন করতে পারে, তবে সেটি যথাযথভাবে করা হচ্ছে বলে মনে হয় না। নারীদের সমমর্যাদা সম্পন্ন মানুষ হিসেবে দেখতে আমরা কতটুকু সক্ষম? এই বিষয়টি সমাজে বিবেচনা করা প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “উত্তেজিত হওয়ার ব্যাপারটা, সেটা শারীরিক বা সেক্সুয়ালি এক্সাইটেড হওয়া, উভয়ই পুরুষের সমস্যা। নারীর এখানে কোন দোষ নেই। পুরুষের যদি তার নিজের আচরণের প্রতি কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকে, তাহলে সেটা তার নিজস্ব সমস্যা, তার অশিক্ষার সমস্যা। সমাজে নারীকে সমানভাবে না দেখতে পারার সমস্যা এবং হৃদয়হীনতার সমস্যাও রয়েছে।"
নূরুল কবীর আরও বলেন, “একজন ছেলে কিংবা একটি মেয়ে একে অপরকে ভালো লাগতেই পারে, কিন্তু সেই ভালো লাগার মধ্যে যুক্তি এবং হৃদয়ের কিছু মানদণ্ডও থাকতে হবে। তবে এমন কিছু পুরুষ রয়েছেন যারা নারীকে ভোগ্য বস্তু ছাড়া আর কিছু ভাবেন না। এটা তাদের পারিবারিক শিক্ষা, সাংস্কৃতিক জীবনের অভাব এবং শিক্ষা ব্যবস্থার গলদ।”
তিনি বলেন, “এগুলো সমস্ত ফালতু যুক্তি না দিয়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায়, সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে, পারিবারিক জীবনযাপনের মধ্যে আমরা সঠিকভাবে নারী এবং পুরুষের সমান মর্যাদা ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বোঝাতে পারলে সমাজে অনেক পরিবর্তন আসবে। একজন আরেকজনের প্রতি কম বা বেশি পাওয়ারফুল হিসেবে না দেখার শিক্ষা দেওয়া জরুরি।”
তিনি আরও বলেন, “রাষ্ট্রের যারা পরিচালনা করেন, তাদের মধ্যে অনেকেই অবচেতনভাবে পুরুষতান্ত্রিক ভাবাদর্শের শিকার, যা সামাজিক উন্নয়নের পথে অন্যতম বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাষ্ট্র যদি এই বিষয়ে আরও সচেতন হয় এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়, তাহলে সমাজে পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।”
সূত্র:https://tinyurl.com/5e3v9a2
আফরোজা