
ছবি: সংগৃহীত
বিশিষ্ট সাংবাদিক নূরুল কবির বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের নারী সমাজ এক অস্থিরতা এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
তিনি দাবি করেন, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির উত্থানের ফলে নারী অধিকারের চরম ক্ষতি হচ্ছে। দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক শক্তির কারণে নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে পারছে না, এবং রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে তারা নির্যাতিত হচ্ছে।
নূরুল কবির আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ বিশেষত মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির মেয়েরা এখন এক ধরনের সন্ত্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। এমনকি, তার মতের সঙ্গে একমত ব্যক্তিরাও এই নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে আলোচনা করছেন।
তিনি মনে করেন, দক্ষিণপন্থী রাজনীতির উত্থান নারীর উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের পথকে বন্ধ করে দিচ্ছে।
সাংবাদিক নূরুল কবির বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যে বৃহৎ গণঅভ্যুত্থান ঘটেছিল, তার পরিবর্তনের সম্ভাবনা এখন ক্ষুণ্ন হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী এই আন্দোলনকে ভুলভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা চলছে, যার ফলে দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রাম এবং তরুণদের নেতৃত্বের প্রতি মানুষের আস্থা কমছে।
নারীর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি উদাহরণ হিসেবে সম্প্রতি ঢাকার শ্যামলী এলাকায় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেন, যেখানে একজন যুবক প্রকাশ্যে নারীকে নির্যাতন করেছিল, কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করা হয়নি।
তিনি জানান, সরকারের পক্ষ থেকে নারীর নিরাপত্তা এবং আইনকে যথাযথভাবে প্রয়োগ না করা হলে বাংলাদেশের ভবিষ্যত অন্ধকারে নিমজ্জিত হতে পারে।
এছাড়া, নূরুল কবির বলেছেন, বর্তমান সরকারের মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও নেতারা যাদের মধ্যে কিছু আন্দোলনকারী নেতা রয়েছে, তারা তরুণীদের যথাযথ মর্যাদা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। এর ফলে, মেয়েদের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং বৈষম্য বেড়ে চলেছে। এই পরিস্থিতি যদি প্রতিহত না করা যায়, তবে বাংলাদেশের আলোকিত ভবিষ্যত নির্মাণের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/MdXw7Op9ovo?si=8kmRry-mpCR5Td-r
এম.কে.