
ছবি: সংগৃহীত।
১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াওন বলেন, বাংলাদেশ সরকার চাইলে তিস্তা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রস্তুত চীন।
তবে, ৯ ফেব্রুয়ারি তিস্তা নদী রক্ষায় করণীয় বিষয়ে এক গণশুনানিতে বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা রিজোয়ান হাসান স্পষ্টভাবে জানান, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে একমাত্র তিস্তা অববাহিকার বাসিন্দাদের চাওয়া-পাওয়ার ভিত্তিতে। এই মহাপরিকল্পনায় কী থাকবে আর কী থাকবে না— সে বিষয়ে তিস্তাপারের মানুষের মতামত নেওয়া হবে।
এর এক মাস পর, পাওয়ার চায়না "তিস্তা রিভার কমপ্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রজেক্ট" তুলে ধরে জানায়, এই প্রকল্পে থাকবে নদীর তীর সংরক্ষণ, ড্রেজিং, বাঁধ ও সড়ক নির্মাণ, উদ্ধারকৃত জমিতে অর্থনৈতিক অঞ্চল, পাওয়ার প্ল্যান্ট, স্যাটেলাইট টাউন, শুষ্ক মৌসুমে পানি সংরক্ষণসহ নানা পরিকল্পনা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব বলেন, "তিস্তার সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে আমাদের উত্তরবঙ্গের মানুষের যে মঙ্গাপীড়িত অঞ্চল হিসেবে দুর্নাম রয়েছে, তা থেকে উত্তরণে সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।"
বিএনপির মুখ্য সমন্বয়ক আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, "একটি সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে তিস্তা নদীর ১৩০ কিলোমিটার সংস্কার করা হোক এবং এটি পুনরুজ্জীবিত করা হোক।"
পাওয়ার চায়না কোম্পানির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর হানকুন বলেন, "এই প্রকল্প পরিবেশবান্ধব এবং এতে ভূরাজনৈতিক কোনো প্রশ্ন থাকার কথা নয়। এটি শুধুমাত্র বাণিজ্যিক প্রকল্প, রাজনৈতিক কোনো বিষয় নয়।"
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, প্রকল্পটি যেন প্রকৃতপক্ষে জনস্বার্থে বাস্তবায়িত হয়, সে লক্ষ্যে সরাসরি তিস্তাপারের বাসিন্দাদের মতামত নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার।
নুসরাত