
ছবিঃ সংগ্রহীত
বাংলাদেশ-চীন চিকিৎসা সহযোগিতার নতুন যুগের সূচনা হলো ১৪ জন বাংলাদেশি রোগীর চীনে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে যাত্রার মাধ্যমে। দ্বিপাক্ষিক চিকিৎসা সেবা সহযোগিতার অংশ হিসেবে সোমবার (১০ মার্চ) তারা চীনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন। দুই দেশই এই সেবা নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসার বিকল্প দেশ হিসেবে চীনকে বেছে নেওয়ার পথ সুগম হলো। প্রথমবারের মতো চীনে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীদের মধ্যে একজন হলেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন। তিনি বলেন, “আমি চীনের চিকিৎসা ব্যবস্থার বিষয়ে অনেক ভালো কথা শুনেছি। আমাদের জন্য এটি আরও সহজ করতে হবে।”
চীনে গিয়ে চিকিৎসা পদ্ধতি ও সুবিধাগুলো সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নিতে আগ্রহী বাংলাদেশি চিকিৎসক দলও। প্রতিনিধি ডা. রাফিদুল হাসান বলেন, “আমরা সরাসরি চীনা ডাক্তারদের সঙ্গে কাজ করব, তাদের উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি শিখব, যা পরে বাংলাদেশে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে।”
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধে চীন এই চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশি রোগীদের জন্য বিশেষ অভ্যর্থনা দল গঠন করা হয়েছে, যারা তাদের থাকা-খাওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা করবে এবং চিকিৎসার পুরো প্রক্রিয়ায় বাংলা ও ইংরেজি জানা দোভাষী সহযোগিতা করবে। এছাড়াও, চীনে চিকিৎসার জন্য আগত বাংলাদেশি রোগীদের সাশ্রয়ী মূল্যের টিকিট দেবে চীনা এয়ারলাইনস এবং ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করা হবে।”
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের নতুন অধ্যায় হিসেবে এই উদ্যোগকে দেখছেন পররাষ্ট্র সচিব জসিমউদ্দিন। তিনি বলেন, “চীনে আমাদের রোগীদের জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা সহজ করার বিষয়ে সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সফরে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এই উদ্যোগ তারই বাস্তবায়ন।”
চীনে প্রথম দফায় যাওয়া ৩১ সদস্যের দলে রয়েছেন ১৪ জন রোগী, ৬ জন আত্মীয়, ৫ জন চিকিৎসক, ৫ জন ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধি ও সাংবাদিক।
এই উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশি রোগীরা চিকিৎসার জন্য শুধুমাত্র ভারতের ওপর নির্ভর না করে চীনকেও একটি কার্যকর ও উন্নত বিকল্প হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন।
ইমরান