
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স—আত্মা’র একটি প্রতিনিধি দল। সোমবার (১০ মার্চ) সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে প্রজ্ঞা-আত্মা’র পক্ষ থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টাকে জানানো হয়, পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্যক্ষতি থেকে অধূমপায়ীদের সুরক্ষা প্রদানের জন্য আইন সংশোধনের মাধ্যমে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ বিলুপ্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। স্মোকিং জোন থাকলে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ বজায় থাকে না। বিশেষ করে, হোটেল ও রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোনে প্রবেশ বা বের হওয়ার সময় সিগারেটের ধোঁয়া পুরো রেস্তোরাঁয় ছড়িয়ে পড়ে, ফলে সেখানে আগত নারী, শিশুসহ সবাই পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির শিকার হন। একইসাথে, সেবা কর্মীরাও সেবা দিতে গিয়ে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন।
প্রজ্ঞা ও আত্মা’র পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার সবচেয়ে বেশি—৩৫.৩ শতাংশ (গ্যাটস, ২০১৭), যেখানে ভারতে ২৮.৬ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ১৯.১ শতাংশ। তামাকজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতা এসডিজি’র ৩য় লক্ষ্যমাত্রা—সুস্বাস্থ্য অর্জনের একটি বড় বাধা। তামাক ব্যবহারের কারণে বছরে ১ লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ বিভিন্ন রোগে মারা যান। তামাক খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে তামাকজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতার ফলে যে আর্থিক ক্ষতি হয়, তার পরিমাণ অনেক বেশি।
বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে আলোচনায় অংশ নেন আত্মা’র আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন এবং সহ-আহ্বায়ক নাদিরা কিরণ, বাংলা ট্রিবিউনের বিজনেস ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম, প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের এবং কর্মসূচি প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার।
এম.কে.