ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১১ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১

আলোচনায় জটিলতা

ফারাক্কায় গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে বৈঠক সফল হলো না

জনকণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৩:৩২, ১০ মার্চ ২০২৫

ফারাক্কায় গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে বৈঠক সফল হলো না

ফারাক্কায় গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে বৈঠক

ফারাক্কায় গঙ্গার পানি মাপার পর দুদিন ধরে বৈঠক করেন ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা। পানি মাপার পর দুই পক্ষই জানিয়েছিলেন ভাগাভাগি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৈঠক সফল হয়নি।
প্রথমদিকে সব ঠিকঠাক এগোলেও শেষ পর্যন্ত আলোচনায় জটিলতা দেখা দেয়। দুই দেশের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে ফারাক্কায় গঙ্গার পানি মাপেন। প্রথম দিন গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়। দুই দেশের প্রতিনিধি দলের নেতা বৈঠকের মিনিটসে সই করেন। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের বৈঠক ছিল সীমান্তের নদীগুলো নিয়ে। সেই বৈঠকের পর মিনিটসে সই হয়নি। তবে সূত্র জানিয়েছে, সাময়িক জটিলতা কেটে গেলে পরবর্তীকালে সই হতে পারে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেছেন, ‘পরিকল্পনামতো আমাদের বৈঠক হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয়।’ কিন্তু ভারতের পক্ষ থেকে কেউ মুখ খোলেননি। বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক সম্মেলন হয়নি। কেউ কোনো কথা বলেননি।
দ্বিতীয় বৈঠকের সমস্যা ॥ শুক্রবারের বৈঠকে আলোচ্য ছিল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে তথ্য ভাগাভাগি, বন্যা রিপোর্ট, সীমান্ত নদীগুলোকে কেন্দ্র করে দুই দেশের পরিকল্পনার বিষয়টি। একাধিক বিষয়ের আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্তে না আসতে পারার কারণে বৈঠকের পর এখনো কোনো মিনিটসে সই করা হয়নি বলে সূত্র জানাচ্ছে।
গত বছর বন্যায় একাধিক সীমান্ত নদীতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় বাঁধ ভেঙে পড়ে। সীমান্ত নদী হওয়ার কারণে এই মেরামতির জন্য দুই দেশের সম্মতি প্রয়োজন। সূত্র জানাচ্ছে, ৭ মার্চের মিটিংয়ে বাংলাদেশ এই নদীগুলোর মেরামতের কাজ করতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারত এখনো তাদের সম্মতি দেয়নি। তারা বিষয়টি আগে খতিয়ে দেখতে চায়।
তথ্য ভাগাভাগির বিষয়টি আলোচনা হয়েছে এবং ভারত তাতে রাজি থাকলেও তা মিনিটসের খাতায় তোলা নিয়ে সমস্যা দেখা যায়। ফলে, শেষ পর্যন্ত মিনিটসে সই হয়নি।
ফারাক্কা সফর ॥ গঙ্গা পানি বণ্টন চুক্তি মেনে পানি ভাগাভাগি হচ্ছে কি না, তা দেখতে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে ভারতে যান দেশের প্রতিনিধিরা। এ বছর ৪ মার্চ ফারাক্কায় গিয়ে পানি মাপার পর তারা জানিয়েছিলেন, ভাগাভাগি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। যদিও তারা জানান, এ বছর পানি কম থাকার জন্য দুই দেশই পানি কম পাচ্ছে।
এরপর ৬ মার্চ ভারত বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে গঙ্গা পানিবণ্টন, গঙ্গায় কম পানি এবং নদীর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। মিটিং শেষে আলোচনার সারাংশে সই করেন ভারত ও বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব শরদ চন্দ্র এবং মোহাম্মদ আবুল হোসেন।

×