
ছবি: সংগৃহীত
ময়মনসিংহের ভালুকায় বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাসসহ ছয় দফা দাবিতে পোশাকের একটি কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের সময় ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আজ সোমবার বেলা পৌনে একটা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত দফায় দফায় এই পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, আজ সোমবার বেলা পৌনে একটার দিকে উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের স্কয়ার মাস্টারবাড়ী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এল স্কয়ার লিমিটেড নামে পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাসসহ ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন। শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করলে শিল্প ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পাঁচ দাবি মেনে নিলেও ঈদ বোনাসের বিষয়টি সমাধান হয়নি। এ সময় মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরে যেতে বলা হলেও শ্রমিকেরা সড়ক থেকে না সরে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শ্রমিকেরা মহাসড়ক ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। শ্রমিকেরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ লাঠিপেটা ও ১২টি কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে শিল্প পুলিশ-৫–এর এসপি আবদুল্লাহ আল মাহমুদসহ ১২ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়া কমপক্ষে ২৩ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
শিল্প পুলিশের এসপি আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, এল স্কয়ার পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা ছয় দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে কারখানা কর্তৃপক্ষ পাঁচ দাবি মেনে নেয়। কিন্তু কারখানায় কোনো শ্রমিক এক বছর কর্মরত না থাকলে ঈদ বোনাস প্রাপ্য হবেন না, এমন তথ্য জানার পর শ্রমিকেরা সড়কে শুয়ে পড়েন। অন্যায্য শর্তের প্রতিবাদ জানান তারা।
আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, "শ্রমিকদের অবস্থানের কারণে জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়, যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তখন শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত থেকে থেকে ধাওয়া–পাল্টাধাওয়া চলে। এতে আমিসহ ১২ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। পরে আমরা বাধ্য হয়ে লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছি।"
আবীর