
ছবি সংগৃহীত
নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা করছেন সারাদেশ থেকে আগত শিক্ষকরা। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শিক্ষা উপদেষ্টার সাক্ষাতের উদ্দেশে সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন তারা। এ সময় হাজারো শিক্ষক এমপিওভুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষকরা বলছেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার ২০২১ সালে অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করে হাজারো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিও থেকে বঞ্চিত করেছে। অথচ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো ২০-২৫ বছর ধরে এমপিওবিহীন থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক-কর্মচারীরা নিরলসভাবে পাঠদান কর্মসূচি চালিয়ে গেছেন এবং জাতীয় শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন।
তারা আরও বলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে অনেক যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে এমপিও থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের এবং শেখ পরিবারের নামে যেসব প্রতিষ্ঠান ছিল, সেগুলোকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।
শিক্ষক-কর্মচারীরা দাবি করেন, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে একযোগে এমপিওভুক্ত করতে হবে। ফ্যাসিস্ট সরকার অযৌক্তিক এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো দিয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করেছিল। তাই অবিলম্বে তাদের দাবি মানতে হবে। এই দাবি পূরণ না হলে রাজপথ ছাড়বেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এর আগে, রোববার দুপুরে অবস্থানরত সব নন-এমপিও শিক্ষকদের নিয়ে খালি থালা হাতে ‘ভুখা মিছিল’ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে হাইকোর্ট কদম ফোয়ারা হয়ে পল্টন মোড় হয়ে প্রেস ক্লাবে গিয়ে শেষ হয়।
রোববার তিন দিনের কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়। এর মধ্যে সোমবার সচিবালয় অভিমুখে পদযাত্রা, মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতের উদ্দেশে যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা এবং বুধবার মুখে লাল কাপড় বেঁধে রাজপথে মিছিলের কর্মসূচি রয়েছে।
আশিক