
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা আলম বলেছেন, ফেসবুকে নিন্দা প্রকাশ নয়, উপদেষ্টাদের অ্যাকশনে দেখতে চাই। একটি বেসরকারি টেলিভিশিন চ্যানেল আয়োজিত এক টকশো অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশব্যাপী নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, নিপীড়ন, ধর্ষণ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক অবনতি নিয়ে আলোচনা হয় ‘রাজনীতি’ নামে ওই টকশো অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানের উপস্থাপক একপর্যায়ে সম্প্রতি এক ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে ঢাবির এক কর্মচারীকে গ্রেফতার, তার জামিন পাওয়া এবং তার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর অভিযোগ তুলে নেয়ার বিষয়গুলো বর্ণনা করেন। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে ঢাবি ছাত্রী তাহমিনা আক্তার মামলা তুলে নিয়েছেন এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের দাবি তিনি এ ব্যাপারে কিছুই জানে না উল্লেখ করে উপস্থাপক এ বিষয়ে ছাত্রদল নেত্রী মানসুরার বক্তব্য জানতে চান।
ঘটনাগুলো মেয়েদের জন্য এতোটা হতাশার যে এগুলো নিয়ে আর আলোচনাই করতে চাই না উল্লেখ করে মানসুরা জানান, ‘জামিনযোগ্য মামলার ক্ষেত্রে মামলা আলাদতে গেলে নিপীড়ক জামিন পেয়ে যায়। সাধারণ মানুষ তো আইনের গেঁড়াকল বুঝবে না। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর সাথে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও থানায় গিয়েছিল। ওই ছাত্রীকে তাদের একটা দিকনির্দেশনা দেয়া উচিত ছিলো, কিন্তু তারা বিষয়টা নিয়ে অবহেলা করেছে।’
হেনস্তায় অভিযুক্ত ঢাবি কর্মচারী অর্ণবকে ছাড়িয়ে নিতে শাহবাগ থানার ‘তৌহিদি জনতার’ মব প্রসঙ্গে ছাত্রদল নেত্রী মানসুরা বলেন, ‘আমি যাচ্ছি, থানায় গিয়ে এই কাজটা করে ফেলব, আমি যা মন চায় করতে পারব, এই কনফিডেন্স তারা কথায় পেয়েছে। কোনো না কোনো শক্তির আশ্রয়েই তারা এই কাজটা করেছে।’
মানসুরা আরও বলেন, ‘দেশজুড়ে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, সারা দেশ ছেয়ে গেছে, আমরা প্রতিবাদ করছি, সবাই প্রতিবাদ করছে, কিন্তু আমাদের আইন উপদেষ্টা জানেন না।’ এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ধর্ষণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। কিন্তু নিন্দা জানানো তো আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কাজ। একজন উপদেষ্টার কাছ থেকে তো আমরা নিন্দা আশা করি না। ফেসবুকে কেন নিন্দা জানাবেন, তিনি একজন নীতিনির্ধারক পর্যায়ের মানুষ। তার মতো অন্যান্য উপদেষ্টাদেরও আমরা অ্যাকশনে দেখতে চাই।
সূত্র: https://tinyurl.com/5e9uwy6a
রাকিব