
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের বিচার দাবিতে বিক্ষুব্ধ জনগন, সর্বোচ্চ সাজার দাবিতে চলছে প্রতিবাদ কর্মসূচি।এ অবস্থায় রোববার দুপুরে সচিবালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টার। দেশের সব ঘটনাই সরকারের নজরদারিতে আছে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “কারো বিরুদ্ধে অপরাধের তথ্য প্রমাণ পেলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হবে। মব জাস্টিস পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে নেয়া হবে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা। যিনি অপরাধ করেন না কেন, যিনি মব জাস্টিস করেন না কেন, যিনি ধর্মীয় হন, নির্ধার্মিক হোন, ধার্মিক হোন যেই হোন না কেন, তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে আজকে থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এবার থেকে আমরা খুব কঠোর ভূমিকা রাখবো। এবং ওখানেই গ্রেপ্তার থেকে শুরু করে ওখানেই আমরা যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে সবাই সব স্টেকহোল্ডারদেরকে বলে দিয়েছি।”
নারী সহিংসতা প্রতিরোধে শীঘ্রই আইন সংশোধন হবে জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, “এখন থেকে ধর্ষণে অভিযোগ জামিন পাবেন না। ১৫ দিনে মামলার তদন্ত এবং ৯০ দিনের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করতে হবে।
ধর্ষণের মামলায় ৯০ দিনের মধ্যে বিচার করতে হবে। ধর্ষণের মামলায় ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করতে হবে। উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিচারক যদি মনে করে শুধুমাত্র মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতেই এই মামলার বিচারকার্য এবং তদন্তকার্য চালানো সম্ভব, তাহলে সেরকম ব্যবস্থা উনি নিতে পারবে। তদন্তকারী অফিসার যাকে নির্দিষ্ট করা হয়েছে তাকেই তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন মাগুরায় শিশু ধর্ষণে জড়িতদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা হবে।আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঠেকাতে শীঘ্রই জরুরি হটলাইন নম্বর চালু করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গঠন করা হবে বিশেষ সেল।“মাগুরায় ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের সবাইকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবে সরকার। একইভাবে যদি দেশে কোথাও নারীর প্রতি কোন সহিংসতা বা ধর্ষণের মত ঘটনা ঘটে তাদের সম্পূর্ণভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।”
নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহারীর বাংলাদেশে কোন কার্যক্রম চালাতে পারবে না বলেও জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।সরকার এই বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
সূত্র:https://tinyurl.com/4pujkkz9
আফরোজা