ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১

সরকারের দায়বদ্ধতার অভাবেই কি নারীর প্রতি সহিংসতা, যা বললেন মাসুদ কামাল

প্রকাশিত: ০১:২৭, ১০ মার্চ ২০২৫

সরকারের দায়বদ্ধতার অভাবেই কি নারীর প্রতি সহিংসতা, যা বললেন মাসুদ কামাল

ছবি : সংগৃহীত

সম্প্রতি সময় টিভি আয়োজিত টকশো ‘অদম্য নারী: অভ্যূত্থান পরবর্তী বাস্তবতা’ শিরোনামে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল।

মাসুদ কামালের কাছে জানতে চাওয়া হয়, নিলোফার চৌধুরী মনি বলছিলেন যে ঘটনাটি আসলে আরো বেশ কয়েকদিন পুরনো, গণমাধ্যমে যে খবর আমরা দেখছিলাম যে, বৃহস্পতিবার মাগুরার হাসপাতালে আট বছরের সে শিশুকন্যাটিকে নেয়া হয়েছিল এবং আজকে শনিবার অর্থাৎ তিন দিনের মাথায় আজকে মামলা রুজু হয়েছে, এই যে মামলা রুজু হতে দেরি হওয়া কিংবা গণমাধ্যমে এত বড় একটা হাইপ ওঠার পরে মামলাটা রজু হওয়া, অনেক মামলা তো এরকম আসলে চাপা পড়েও যায়, যেগুলো আসলে শ্লীলতাহানি বা ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, এগুলোর পিছনে আসলে কারণ কি? এটা কি, এটা তো এই সরকারের আমলের ট্রেন শুধু না, এর আগেও এরকম ঘটেছে। এটা কি আসলে সামাজিক একটা পরিবর্তনের প্রয়োজন, নাকি আসলে এই সরকারই অনেকটা যেমনটি আপা বলছিলেন, যে সরকারের দায়বদ্ধতার অভাব রয়েছে?

জবাবে মাসুদ কামাল বলেন, “শুনেন, আপনি যদি খুব ভেতর থেকে ধরেন, তাহলে সামাজিক কারণ। এটা এখন সমাজ যদি ভালোই হয়ে যেত, তাহলে তো পুলিশ-উকিল কিছুই লাগে না। সবাই তো যার যার মধ্যে ভালো থাকবে, দুনিয়াটা শান্তিতে ভরপুর হয়ে যাবে। তা কি হয়! না, হয় না।

কাজেই সেখানে মূল জিনিসটা হলো, অন্যায় লোকে করবে এবং সে অন্যায়ের আপনি যদি সাজা দিতে পারেন, শাস্তি দিতে পারেন, দ্বিতীয়বার অন্যায় করতে ভয় পাবে। এইতো নিয়মটা। এখন এই যে আমরা বলছি, যে মব বলছি, শাস্তি হচ্ছে কোনটা!

আমি একটা এক্সাম্পল দেই। আপনাকে শাহবাগের যে ঘটনাটা ঘটলো, শাহবাগের ঘটনাটা, যে মেয়েটাকে এরকম মানে হেনস্তা করা হলো, সে মেয়েটাকে কিন্তু মামলা তুলে নিতে বাধ্য করা হয়েছে। বাধ্য করা হয়েছে, কথাটা খেয়াল করেন। যে লোকগুলো ওখানে সামনে বসেছিল, ওইযে পাগড়ি মাথায় অমুক-তমুক এবং তারা মোবাইল নিয়ে পুলিশের ভেতরে ঢুকে, গারদের ভেতরে থাকা ওই লোকের সঙ্গে কথা বলে তার ভিডিও করেছে, ফেসবুকে ছেড়ে দিয়েছে। সে লোকগুলো চেহারা আপনারা দেখেন নাই!”

তিনি বলেন, “এরা কেউ অ্যারেস্ট হইছে! হয় নাই। শের খান না কি যেন নাম তার, তারা অ্যারেস্ট হয় নাই। তাহলে উনারা আগামীকালকে তো আবার আসবেন। আচ্ছা ঠিক আছে, গুলশানে যে ঘটনাটা ঘটলো, আমি খালি এটা বলছি না, আমি পুরা আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বলছি, গুলশানে যে ঘটনাটা ঘটলো, বাড়ির ভেতরে লোকজন আছে, সেখানে শ’খানেক লোক অথবা ৫০-৬০ জন লোক ভেঙে ভেতরে ঢুকলো। যদি ওখানে ১০০ জন লোক থাকে, আমি একেবারে নিশ্চিত, আপনি ১০০ জনকেই পেয়ে যাবেন, যদি বিভিন্ন টেলিভিশনের ফুটেজগুলি আপনি চেক করেন।

সবগুলি টেলিভিশন ওটা কিন্তু লাইভ প্রচার করেছে। তিনজনকে তারা দায়ী করছে, এটা নিয়ে আবার প্রধান উপদেষ্টা প্রেস থেকে মানে বাহাদুরি করে দেখাইল, তিনজনকে ধরা হয়েছে।এদেরকে কেউ উসকানি দিছে, তাকে আইডেন্টিফাই করছে, আরে ভাই উসকানি তো দিতেই পারে, ওকে আপনি ধরেন, আমার কোন আপত্তি নাই। এই উস্কানিতে যারা নাকি উত্তেজিত হয়ে হামলাটা করল, তাদেরকে ধরছেন! তাদেরকে আপনি সবগুলিকে ধরতেন, তাহলে কিন্তু আর কেউ উস্কানি দিলেও, কেউ আসতো না।”

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=E0GEANjzhro

মো. মহিউদ্দিন

×