ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনে, বিচার ৯০ দিনের মধ্যে

​​​​​​​স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ৯ মার্চ ২০২৫

ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনে, বিচার ৯০  দিনের মধ্যে

.

৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার বিচার সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা . আসিফ নজরুল। একই সঙ্গে ১৫ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এটি করতে হবে।ধর্ষণকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। রবিবার আইন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং তথ্য সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মামলায় তদন্ত বিচারে যাতে বিন্দুমাত্র কালক্ষেপণ না হয়, সে ব্যাপারে আইন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সজাগ থাকবে। ধর্ষণ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধকল্পে আমরা কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করেছি। এগুলো চূড়ান্ত করে শীঘ্রই আইনগত পরিবর্তন আনা হবে। সময় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না। দেশের কোথাও যদি নারীর প্রতি কোনো

সহিংসতা বা ধর্ষণের মতো কোনো ঘটনা ঘটে, তাদের সম্পূর্ণভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থানজিরো টলারেন্স মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা, ‘মব জাস্টিস’, ডাকাতির মতো ঘটনা সরকার এখন থেকে কঠোর হাতে দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিন উপদেষ্টা কথা বলেছেন।

আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক . আসিফ নজরুল বলেন, ধর্ষণের মামলা ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত ৯০ দিনের মধ্যে বিচার শেষ করতে হবে।ধর্ষণকে জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে। ধর্ষণের মামলাগুলো তদারকি করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের আলাদা একটা সেল থাকবে, যেন অযথা সময় ক্ষেপণ না করা হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘মাগুরার সেই শিশু আছিয়ার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। এর নিন্দা জানাই। চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মামলার আসামিরা কোনো ছাড় পাবে না। দ্রুত সময়ে তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে।তিনি বলেন, ‘রাস্তাঘাটে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধে অতিদ্রুত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা একটা হটলাইন দেওয়া হবে। যা ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে। রাস্তাঘাটে কোনো ঘটনা ঘটলে ওই হটলাইনে অভিযোগ করা যাবে। এটা তদারকি করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সেল রাখা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হেনস্তার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ ঘটনায় তাকে চাপ দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা হবে। যেদিন মামলা প্রত্যাহার করানো হয়, সেদিন সেই যৌন নিপীড়ক জামিন পেয়েছিল।আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গত কয়েকদিনে যেসব মব জাস্টিস এবং মোরাল পুলিশিংয়ের ঘটনা ঘটেছে, সে বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দোষীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যারা গ্রেপ্তার হয়নি তাদের গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।সব ঘটনাই সরকারের পর্যবেক্ষণে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, কোনো অপরাধী বিচারের বাইরে থাকবে না। সময় আইন উপদেষ্টা বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার তদন্ত কাজ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্তকারী কর্মকর্তাকে এটি করতে হবে।

ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না বাংলাদেশের ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না। মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রবিবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা জানান তিনি।

নারী শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষণের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না। মাগুরার ঘটনায় যারা অভিযুক্ত তাদের সবাইকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করবে সরকার। একইভাবে যদি দেশের কোথাও নারীর প্রতি কোনো সহিংসতা বা ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটে, তাদের সম্পূর্ণভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশে ধর্ষণের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থানজিরো টলারেন্স

তিনি বলেন, ‘ধর্ষণসহ নারী শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। যাবৎ নারীর প্রতি যত সহিংসতা হয়েছে সেগুলোর তালিকা করে দ্রুত তদন্ত সম্পন্নপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছি। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলোর সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা হবে এবং কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।’ ‘নারীরা নির্ভয়ে, নির্বিঘেœ ঘরে-বাইরে দায়িত্ব পালন করবে। এতে যারা তাদের বাধা দিতে আসবে, সহিংসতা করতে আসবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। ব্যাপারে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না। ধর্ষণসহ নারী শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘গত শুক্রবার জুমা শেষে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের সদস্যরা বায়তুল মোকাররম এলাকায় একটি মিছিল করে। পরে পুলিশের বাধার মুখে সেটি পন্ড হয়ে যায় তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সরকার বিষয়েজিরো টলারেন্সনীতি গ্রহণ করেছে। কোনোভাবেই কোনো নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনকে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেওয়া হবে না। ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। সংঘবদ্ধ মব দুষ্কৃতকারীদের বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কিছুদিন আগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় এক এসআইকে কিছু স্থানীয় মাদকসেবী, দুষ্কৃতকারী ছিনতাইকারীরা মব সৃষ্টি করে মারধর করেছে, যাদের পরবর্তীতে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর যে কোনো আক্রমণ বরদাস্ত করা হবে না, কঠোর হস্তে তা দমন করা হবে।

রমজানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর জানিয়ে তিনি বলেন, রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রায় শতাধিক তল্লাশি চৌকি বা চেকপোস্ট বসানো হয়েছে অপরাধ প্রবণ এলাকায় টহল সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট বিজিবির সমন্বয়ে যৌথবাহিনী টার্গেট এলাকাসমূহে জোরদার অপারেশন পরিচালনা করছে। এসব চেকপোস্ট এবং টহল দলের রাত্রিকালীন কার্যক্রম মনিটরিং করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়মিত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।রমজানে চাঁদাবাজি ছিনতাই প্রতিরোধ এবং বিভিন্ন বিপণিবিতানে যাতায়াতকারী ক্রেতা-বিক্রেতাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। ব্যাপারে তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। রমজান আসন্ন ঈদে সাধারণ জনগণের বাড়ি যাত্রা নিরাপদ নির্বিঘœ করার লক্ষ্যে বিভিন্ন মহাসড়কে চাঁদাবাজি ছিনতাই রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘যেসব অপরাধের ভিডিও ফুটেজ পাওয়া যাবে, সেগুলো সংগ্রহ করে ফ্যাক্ট চেকিং করে অপরাধীদের শনাক্তকরণ করা হবে এবং আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এখন কোনো নারী নিরাপত্তাহীন বোধ করলে পুলিশের কাছে গিয়ে সে কি নিরাপত্তা পাবে- বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশের কাছে গেলে যদি কেউ প্রতিকার না পায়। সেটা আমার নজরে আনবেন, আমি ওই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

সরকারেরকঠোরবার্তা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা, ‘মব জাস্টিস’, ডাকাতির মত ঘটনা সরকার এখন থেকে কঠোর হাতে দমনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে তুলে ধরেছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। গত সাত আট মাসে যে যেখানে মব ভায়োল্যান্স করেছে, তাদের সকলের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। রবিবার আইন মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি কথা জানান।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, সবকিছুরই গোয়েন্দা তথ্য নেওয়া হচ্ছে; অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যৌন নিপীড়নের অভিযোগ জানাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে হটলাইন চালু করা হচ্ছে। আর ধর্ষণের ঘটনা প্রতিরোধে মনিটরিং সেল করেছে আইন মন্ত্রণালয়। তিনি আরও বলেন, ধর্ষণ, নারী নিপীড়ন বা মব ভায়োল্যান্স যাই হোক না কেন, সকল ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে তার ধর্মীয় বা অন্য কোনো পরিচয় বিবেচনায় নেওয়া হবে না। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিষয়ে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তথ্য উপদেষ্টা। থানায় গিয়ে মব সৃষ্টির বিষয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যতগুলো জটিলতা নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে, সকল ঘটনায় এখন থেকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

আইন মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আজকে আলোচনা হয়েছে, লালমাটিয়া ইস্যুতে বা যেখানেই হোক না কেন, আপনারা জানেন আইন হচ্ছে অন্ধ; যে অপরাধী হোন না কেনো এটার কোনো জাত-পাত-ধর্ম দেখা হবে না। লিঙ্গও দেখা হবে না।নারী কি পুরুষ; যিনিই অপরাধ করেন না কেনো, যিনি মব জাস্টিস করবেন, তিনি ধার্মিক হোন আর বিধর্মী হোন, তাকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।ইতোমধ্যে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তুলে ধরেন তিনি।

তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ প্রধান উপদেষ্টার উপস্থিতিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, সামনে থেকে মব জাস্টিস পরিস্থিতি তৈরি হলে বা কোনো ধরনের থানা ঘেরাও থেকে শুরু করে যে কোনো ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি হলে এবার থেকে আমরা খুব কঠোর ভূমিকায় থাকব। ওখানেই গ্রেপ্তার থেকে শুরু করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আমরা স্টেকহোল্ডারদের বলে দিয়েছি।সরকার সব ধরনের মবের বিষয়েজিরো টলারেন্সঅবস্থান নিয়েছে তুলে ধরে মাহফুজ আলম বলেন, ‘আগে যে মবগুলো হয়েছে, মব জাস্টিসের ঘটনা ঘটেছে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মামলা হলে বা আমাদের জায়গা থেকে মামলার ব্যবস্থা নিতে পারি। এর ভিত্তিতে আমরা অবশ্যই সামনে থেকে মব জাস্টিস পরিস্থিতি থেকে শুরু করে যে কোনো জায়গায় এখানে ওখানে গিয়ে ডাকাতি, যতগুলো ঝামেলা আছে, যতগুলো জটিলতা সোসাইটিতে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা, নৈরাজ্য আমরা এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্স ভূমিকায় অবতীর্ণ হবো।

×