
ছবি : সংগৃহীত
গ্যাস অনুসন্ধানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কূপ খননের জন্য চলতি বছরেই আরেকটি রিগ কেনা হবে। এজন্য পেট্রোবাংলা থেকে পাঠানো প্রকল্প প্রস্তাবের প্রাথমিক মূল্যায়ন করেছে জ্বালানি বিভাগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গ্যাসের চাহিদা মেটাতে কূপ খনন ও উত্তোলন বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া উচিত। এলএনজি আমদানিতে আরো দুই ভাসমান টার্মিনাল স্থাপনের কার্যক্রম থমকে গেছে। তাই শিল্প বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে গ্যাসের ঘাটতি কমাতে স্থানীয় উত্তোলন বাড়ানোর বিকল্প নেই।
চলতি বছরের মধ্যে নতুন সংস্কারসহ মোট ৫০ কূপ খননের লক্ষ্য ছিল সরকারের। ১৬ কূপ খনন শেষ হয় গত বছর। চলতি বছর ৩৪ টির মধ্যে ১১ টি খনন করার কথা রাষ্ট্রীয় তেল গ্যাস অনুসন্ধানী প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের।
পেট্রোবাংলার চেয়্যারম্যার রেজানুর রহমান বলেন, “আমরা দেশীয় যে আমাদের কোম্পানি আছে বাপেক্স, এটাকে আমরা সর্বোচ্চ গতিশীল করার জন্য চেষ্টা করছি। এখন পাঁচটা রিগ আছে। আরো একটা রিগ আমরা যুক্ত করতে যাচ্ছি। আমরা ডিপিপি অলরেডি পাঠিয়েছি। বিভাগীয় মূল্যায়ন কমিটি একটা কমিটি আছে জ্বালানির।”
বাপেক্সের একটি কূপ খরনে গড়ে খরচ ১০০ কোটির নিচে, অন্যদিকে বিদেশী কোম্পানি দিয়ে খননে ব্যয় হয় ১৮০ থেকে ২০০ কোটি টাকা। গ্যাস কুপ খনন ও আবিষ্কারে যথেষ্ট সফলতা থাকলেও বাপেক্স অবহেলিত ছিল বলে মত বিশ্লেষকদের।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, “মাটি থেকে গ্যাস কুপ খনন, এগুলোর জন্য অনুমোদন, এই কাজগুলোকে সর্বোচ্চ প্রাধিকার দিয়ে এই কাজগুলোকে নিয়ে যাওয়া দরকার। এই প্রেক্ষাপটে যদি নতুন করে সরকারকে রিগ কেনার প্রয়োজন পড়ে অথবা রিগ যদি সরকার ভাড়ায় নিয়ে আসতে পারেন দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে, সেই বিষয়গুলো সরকার এখানে বিবেচনা করতে করতে পারেন। কেননা আমাদের দীর্ঘমেয়াদে গ্যাসের সাপ্লাই অনেক বেশি প্রয়োজন রয়েছে।”
গত দেড় বছরে কূপ খননে পৌনে ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাস মিললেও পাইপলাইনের অভাবে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারে আসছে না। অর্থনীতির স্বার্থে এতেও দ্রুত বিনিয়োগ জরুরী বলে মত পর্যবেক্ষকদের।
মো. মহিউদ্দিন