ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতার সহায়তায় নতুন জীবন পেল দুর্গাপুরের শিশু আব্দুল্লাহ

সংবাদদাতা, দুর্গাপুর, নেত্রকোনা

প্রকাশিত: ২০:৪১, ৯ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ২০:৪৩, ৯ মার্চ ২০২৫

কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতার সহায়তায় নতুন জীবন পেল দুর্গাপুরের শিশু আব্দুল্লাহ

ছ‌বি: সংগৃহীত

যতই দিন যাচ্ছে মৃত্যু যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে শিশু আব্দুল্লাহকে। সন্তানের এই নিশ্চিত মৃত্যু যেন মেনে নিতে পারছেন না আব্দুল্লাহর পরিবার। দীর্ঘদিন ধরে বুকে ব্যথা ও কাশি রোগ দেখা দিয়েছিলো ওই শিশুর। ডাক্তার দেখিয়ে পরিবার নিশ্চিত হয়েছিল শিশুটির হর্টে সমস্যা।

আব্দুল্লাহর বয়স মাত্র ৩ বছর। ছেলেকে উন্নত চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য তার বাবার নেই। ডাক্তার বলেছেন, অপারেশন করাতে পারলে ভালো হয়ে যাবে তার ছেলে। আগের মতো সারা বাড়ি জুড়ে হাঁটবে, খেলবে, খাবার খাবে। কিন্তু অপারেশন করতে তো অনেক টাকার প্রয়োজন।

হাসিখুশিতে মেতে থাকলেও বুকে ব্যথা অনুভব হলে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারত না আব্দুল্লাহ। দুর্গাপুর উপজেলার চণ্ডিগড় ইউনিয়নের নিলাখালী গ্রামে এক গরিব ঘরে জন্ম কোমলমতি শিশুটির। আব্দুল্লাহর বাবা খোকন মিয়া পেশায় একজন দিনমজুর

ছেলের কঠিন অসুখের কথা ভেবে মনের অজান্তেই চোখ ভিজে যায় বাবার। প্রায় সময়ই বুক ভেসে যায় চোখের পানিতে। আব্দুল্লার মা মাজেদা খাতুন গৃহিণী। দুই ছেলে, দুই মেয়ে নিয়ে কোনোরকমে টানাপোড়নের মধ্যে চলে তাদের সংসার।

কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যরিস্টার কায়সার কামালের উদ্যোগে নেত্রকোনা-১ আসনে বিনামূল্যে চক্ষু অপারেশন ক্যাম্পসহ ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা ও ঔষধ বিতরণ কর্মসূচির কথা জানতে পারেন আব্দুল্লার বাবা খোকন মিয়া। গত ১৮ জানুয়ারি স্থানীয় নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক চিকিৎসা ক্যাম্পে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখেন আব্দুল্লাহকে। খোকন মিয়ার অসহায়ত্বের কথা জানতে পেরে ছেলেটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন বিএনপি নেতা ব্যরিস্টার কায়সার কামাল।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আব্দুল্লাহকে ভর্তি করা হয় ঢাকার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে। ২২ ফেব্রুয়াারি তার হার্টের সফল অপারেশন হয়। সকলের দোয়া ও ডাক্তারদের সহায়তায় সফল অপারেশন হয় শিশু আব্দুল্লাহর। দিনমজুর খোকনের পরিবারে এক নতুন জীবনের সূচনা হয়।

আব্দুল্লাহর বাবা খোকন মিয়া বলেন, ‘ছেলের কঠিন অসুস্থতা নিয়ে নিয়ে আমরা খুবই দুঃচিন্তায় ছিলাম। অপারেশন করানো তো দূরের কথা, টাকার কথা শুনেই চিকিৎসা করানোর চিন্তা বাদ দিয়েছিলাম। আমার কথা শুনে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাহেব ছেলের যাবতীয় চিকিৎসা ও ঔষধ খরচ বহন করেছেন। আমার ছেলে এখন সুস্থ্, আমি ব্যারিস্টার সাহেবের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।’

ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘মানবসেবা করার উপরে আর কী হতে পারে? বিএনপি মা, মাটি ও মানুষের দল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। মানবিক দিক বিবেচনায় শিশু আব্দুল্লার পাশে দাঁড়িয়েছি। সে এখন সুস্থ্। আব্দুল্লাহকে ফিরে পেয়ে এলাকার সবাই খুশি। মানবতার সেবা বাস্তবায়নে আমাদের এ ধরনের কার্যক্রম সারা দেশেই অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।’

রাকিব

×