ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৯ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১

ঢাকার কার্জন হলে ঢুকতে না দেয়ায় তিন বন্ধুর মধুর প্রতিশোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ১৭:৪১, ৮ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১৮:০০, ৮ মার্চ ২০২৫

ঢাকার কার্জন হলে ঢুকতে না দেয়ায় তিন বন্ধুর মধুর প্রতিশোধ

ছ‌বি: সংগৃহীত

কার্জন হল থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে মধুর প্রতিশোধ  নিয়েছেন সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে উত্তীর্ণ তিন বন্ধু। মাসখানেক আগে ওই তিন বন্ধু   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী কার্জন হলে ঢোকার অনুমতি না পেয়ে আক্ষেপের মুহূর্তটি ক্যামেরাবন্দি করে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছিলেন।  ওই তিন বন্ধুর একজনের নাম আশিকুর রহমান আফ্ফান (১৪৬৩তম), তার বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল পৌর শহরের মুসলিমপাড়া। অপর দুই বন্ধু লক্ষ্মীপুরের জাবেদ আলী (৩৯৯তম) ও শরীয়তপুরেরে মুঈন জিসান (৩৭তম)। 

ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের ফলাফল প্রকাশের পর একটি ভিডিও ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন আশিকুর রহমান আফফান। সেখানে তিনি লেখেন, বহিরাগত হওয়ার জন্য আমিসহ আমার বন্ধুদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি কার্জন হলে। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা তিনজনই এখন ঢাবিয়ান। একজন আবার ৩৭তম! এবার আমাদের ঢাবিতে না ঢুকতে দেওয়ার সাধ্য আছে কার মহান রব ব্যতীত। 

তিন বন্ধু যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসেছিলেন, তখন তাদের কেবলই এক স্বপ্ন এই বিদ্যাপীঠের ছাত্র হওয়া। কিন্তু পর্যটক হিসেবে কার্জন হলের ভেতরে ঢোকার অনুমতি না পেয়ে তারা হতাশ হয়েছিলেন এবং সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও করেছিলেন। এখন, নিজেদের কঠোর পরিশ্রম ও মেধার প্রমাণ দিয়ে তারা সেই স্বপ্নের দুয়ার খুলে নিয়েছে। 

১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে আশিকুর রহমান বলেন, আমরা কার্জন হলে ঘুরতে আসছিলাম, আমাদের ঢুকতে দেয়নি। আজ ১ ফেব্রুয়ারি । আমরা স্টুডেন্ট হিসেবে একদিন এখানে ঢুকবো, ইনশাআল্লাহ। আমরা একসাথে ছবি তুলবো। চান্স পাওয়ার পর ভিডিওটা ছাড়বো। 

স্থানীয়দের মতে, তাদের এই সফলতা অন্য শিক্ষার্থীদের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তারা এবার সত্যিকারের ছাত্র হিসেবে কার্জন হলে প্রবেশের সুযোগ পেল। তাদের এই অর্জন শুধু তাদের নিজেদের জন্য নয়, বরং তাদের পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যও গর্বের বিষয় হয়ে উঠেছে। 

ঢাবিতে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী মোঃ আশিকুর রহমান আফফান বলেন, সেদিন শুধু ঘুরতে এসে ঢুকতে না পারার কষ্ট পেয়েছিলাম। এখন আমি নিজেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী! এটা ভাবতেই ভালো লাগছে। ঢাবির প্রতি আমাদের রাগ ক্ষোভ কিছুই ছিলোনা, যারা আমাদের ঢুকতে দেয়নি তাদের প্রতিও রাগ ক্ষোভ নেই। বিষয়টি আমরা পজিটিভভাবে নিয়েছি ।

আবীর

×