
ছবি : সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ব্রাহ্মন্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লাকমিয়ার বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে তার ৪৯টি ব্যাংক হিসাবে ১৪ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
দুদকের তদন্তে আরও বেরিয়ে এসেছে, লাকমিয়ার স্ত্রী মাহমুদা বেগমের ১৪টি ব্যাংক হিসাবেও ৪৬১ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। সব মিলিয়ে দম্পতির ৭০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ এবং প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের তথ্য উদঘাটিত হয়েছে।
সরকারি ত্রাণ তহবিল থেকে চাল, গম আত্মসাৎসহ জমি জালিয়াতির মাধ্যমে এই বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে লাকমিয়ার বিরুদ্ধে। তদন্ত শেষে দুদক জানায়, ২০০৭ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে তার ব্যাংক হিসাবগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন হয়েছে, যা তার বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এবং দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাকমিয়াকে গ্রেফতার করে। শুধু দুর্নীতি নয়, লাকমিয়া আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা এবং তিনি জুলাই গণহত্যার একাধিক মামলার আসামি বলেও জানা গেছে।
দুদক বলছে, লাকমিয়ার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মো. মহিউদ্দিন