
ছবিঃ সংগৃহীত
ইফতারের অভিজ্ঞতা সবার জন্যই বিশেষ, তবে সারজিসের জন্য এবারের ইফতার ছিল একদমই অন্যরকম—একটি সময়যাত্রার মতো, যা তাকে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে শৈশবের সেই সোনালি দিনে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন,"তিনি ছোটবেলা কাটিয়েছেন গ্রামের মাটির সান্নিধ্যে। তিনি জানান, তার জীবনের প্রথম ১৭ বছর কেটেছে একদম গ্রামে। ইফতারের এই পরিবেশ তাকে সেই দিনগুলোর কথা মনে করিয়ে দিয়েছে, যখন সকাল ও দুপুরের মাঝামাঝি সময়ে ধানখেতে কাজ করা কৃষকদের জন্য খাবার নিয়ে যাওয়া হতো। তারা তখন মাঠের মধ্যে বসে গরম রোদের নিচে একসঙ্গে ভাত ও তরকারি খেতেন।"
এই স্মৃতি মনে পড়তেই সারজিস যেন ফিরে গেলেন সেই শৈশবে। তিনি বলেন, “এই ইফতারে আসলে প্রাণ আছে। শহরের ইট-কাঠের বিল্ডিংয়ের ভিতরে আমাদের খাওয়া যেন কৃত্রিম হয়ে যায়। কিন্তু এখানে হয়তো খাবারের পরিমাণ কম, তবে ভালোবাসা ও আত্মীয়তার উষ্ণতা বেশি। বাবা-চাচা কিংবা ভাইদের বয়সী মানুষদের সঙ্গে বসে ইফতার করা—এটাই তো প্রকৃত বাংলাদেশ, প্রকৃত আত্মার পরিতৃপ্তি।”
তিনি আরও বলেন, "দিন শেষে মানুষ মাটির কাছেই ফিরে আসে, মানুষের কাছেই ফিরে আসে। এই ইফতারে সেই অন্তরের টানটাই অনুভব করছি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যায় না, তবে চোখের ভাষায় তা স্পষ্ট বোঝা যায়।"
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক ইফতার অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে ইফতারে সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
ইমরান