
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অভিযান পরিচালনা করতে পারবে না। এ ধরনের কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এখতিয়ারভুক্ত।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে ট্যুরিস্ট পুলিশ সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশব্যাপী মব জাস্টিসের (গণপিটুনি) ঘটনা রোধে সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “আমি অস্বীকার করব না যে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে, তবে যেখানে এমন কিছু হচ্ছে, সেখানেই দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।”
এ সময় তিনি মব নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তার মতে, “জনগণকে আরও সচেতন করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষে এ ধরনের পরিস্থিতি সবসময় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “যেসব ছেলে-মেয়ে বিপথে চলে যাচ্ছে, তাদের বাবা-মা ও অভিভাবকদের কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। পরিবার থেকেই শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে তারা আর এ ধরনের অপকর্মে না জড়ায়।”
এ ছাড়া, গণমাধ্যমেরও মব প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দেশে অপরাধের রেড জোন চিহ্নিত করতে গিয়ে তিনি জানান, ঢাকা-রাজশাহী এবং টাঙ্গাইল অঞ্চলে মব জাস্টিসের ঘটনা তুলনামূলকভাবে বেশি ঘটছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও তৎপর থাকতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে চাঁদাবাজি ও ছিনতাই রোধে সরকারের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চাঁদাবাজ ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনবলের ঘাটতি, নিবেদিত থানার অভাব এবং যানবাহনের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করেন। তবে, তিনি বাহিনীটির প্রশংসা করে বলেন, “একটি সক্রিয় ও দক্ষ ট্যুরিস্ট পুলিশ গঠন করা গেলে আরও বেশি বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট করা সম্ভব হবে, যা দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
সূত্র: https://web.facebook.com/watch/?v=1331094304684834&rdid=gFUebPRZIb9uMT8h
সায়মা ইসলাম