
ছবি: সংগৃহীত
পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, "আমরা চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব এই ঘটনা দমন করতে। পুলিশ খবর পেলেই আমরা সেখানে যাচ্ছি এবং অপরাধীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করছি। গুলশানের ঘটনাতেও দেখা গেছে, অনেক অপরাধী ছাত্রজনতার নাম ব্যবহার করছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে আমরা ধরেছি এবং বাকিদেরকে গ্রেপ্তার করতে আরও তদন্ত চালানো হচ্ছে। আমি মনে করি, যদি আমরা এই ঘটনার ব্যাপারে সঠিকভাবে ব্যবস্থা নিতে পারি এবং অপরাধীদের বিচারিক আওতায় আনতে পারি, তবে এটি অন্যান্যদের মধ্যে আইন মেনে চলার প্রবণতা তৈরি করবে এবং বেআইনি কাজ করা থেকে বিরত রাখবে।"
দলীয় নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "এমন কিছু সংবাদ এসেছে, তবে এখন পর্যন্ত আমরা কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হইনি। আগে এমন কিছু ঘটনার পরেও আমরা সঠিকভাবে কাউকে আটক করতে পারিনি। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের নাম বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে। আরও তদন্ত করলে হয়তো আমরা বুঝতে পারব, এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক এলিমেন্ট আছে কি না। তবে, রাজনৈতিক এলিমেন্ট থাকলেই যে সেটা দলীয় কিছু, তাও নয়। অনেক সময় কেউ ব্যক্তিগতভাবে এসব কাজ করে এবং পরে দলের নাম ব্যবহার করে। এভাবে সমাজ চলতে পারে না।"
আবু সাঈদ হত্যা মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "আইনের আওতায় আসছে, তবে গ্রেফতার পুরোপুরি শেষ হয়নি। এফআইআর-এ যাদের নাম আছে, তারা সবাই গ্রেফতার হবে এমন নয়। যদি তদন্তে আরও তথ্য পাওয়া যায়, তবে সকলেই গ্রেফতারযোগ্য হবে। আমরা আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করছি এবং আমি বিশ্বাস করি যে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি, কারণ এটি আমাদের জন্য একটি ল্যান্ডমার্ক কেস এবং এখান থেকেই আমাদের নতুন পথচলা শুরু হয়েছে।"
আবীর