টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে হামলা সংঘর্ষ হত্যা মামলায় তাবলীগ জামাতের আরেক সাদপন্হী শীর্ষ মুরুব্বি জিয়া বিন কাশেম জামিনে মুক্ত
টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের জোড় ইজতেমা করতে না দেওয়ার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ডিসেম্বর ভোররাতে ইজতেমা ময়দানে হামলা ও সংঘর্ষে ৪ মুসুল্লি নিহত ও শতাধিক আহতের ঘটনার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাদপন্থীদের আরেক শীর্ষ মুরুব্বি জিয়া বিন কাশেম গাজীপুর কারাগার থেকে বৃহস্পতিবার বিকালে মুক্তি পেয়েছেেন। এর আগে বুধবার রাতে কারাগার থেকে মুক্তি পান সাদপন্হীদের আরেক শীর্ষ মুরুব্বি ও মুখপত্র মুফতি মুয়াজ বিন নূর।
এদিকে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে হামলা সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় সাদপন্হীদের শীর্ষ মুরুব্বিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক বলে সাদপন্হী মুরুব্বিরা দাবি করেছেন! সাদপন্হী মুরুব্বিরা বলছেন, নাম ধরে দায়ের করা মামলার কেউই হামলা বা সংঘর্ষে ওইদিন অংশ নেননি।
উল্লেখ করা যেতে পারে, তাবলীগ জামাতের শুরায়ে নেজাম ও সাদপন্হী নামে দুটি গ্রুপ নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে দুবার সংঘর্ষে জড়ায় এতে দুবারে ৬ জন নিহত ও হাজার হাজার মুসল্লী আহত হন। তাবলীগ জামাতের দুই গ্রুপই নিজেদের আদি ও আসল দাবি করে তাবলীগ জামাতের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ও ঢাকার কাকরাইল মসজিদের একক নিয়ন্ত্রণ নিতে গিয়ে সংঘাতে জড়ায়। বিবদমান দুটি গ্রুপ এখনও মারমুখী অবস্থানে রয়েছেন।
জেল হাজত থেকে মুক্তির আগে হাইকোর্ট তাকে জামিনে মুক্তি দেয়। সাদপন্হীদের অন্যতম মিডিয়া মুখপত্র মোহাম্মদ সায়েম তাদের ইজতেমা ভেরিফাইড পেইজ পোস্টে আজ বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষ ও নিহতের ঘটনায় ১৯ ডিসেম্বর টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা করেন শুরায়ে নেজামের মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী এস এম আলম হোসেন নামে এক ব্যক্তি। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকশ’ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হচ্ছেন, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, তার ছেলে ওসামা ইসলাম আনু, আবদুল্লাহ মনসুর, কাজী এরতেজা হাসান, মোয়াজ বিন নূর, জিয়া বিন কাশেম, আজিমুদ্দিন, আনোয়ার আবদুল্লাহ, শফিউল্লাহ প্রমুখ। আসামিরা সবাই সাদ অনুসারীদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। আসামিরা সবাই হাইকোর্টের অন্তবর্তী জামিনে আছেন।
সায়মা ইসলাম
