
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যৌথ অভিযান
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা ও হয়রানির ঘটনায় অর্ধশতাধিক দালালকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। এর মধ্যে নারী-পুরুষ মিলিয়ে ৩৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর গোপন তথ্য ও নজরদারির ভিত্তিতে এ যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলার সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান।
অভিযান চলাকালে হাসপাতাল চত্বর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে নারী সদস্যসহ দালাল চক্রের সদস্যদের আটক করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে তারা বিভিন্ন কৌশলে রোগীদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে আসছিল বলে জানা গেছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন নজরদারির পর এ অভিযান চালানো হয়। এতে অর্ধশতাধিক দালালকে আটক করা হয়েছে। সবার নাম, পরিচয় ও অন্যান্য তথ্য যাচাই-বাছাই শেষে ৩৩ জনকে সর্বোচ্চ তিন মাসসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৯ জন নারী ও ১৪ জন পুরুষ।
এ বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, "হাসপাতালের কিছু দালাল এই কাজকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। দালালি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ার পরেও তারা ছাড়া পেয়ে পুনরায় হাসপাতালে ফিরে আসে। হাসপাতালের আশপাশে বসবাসকারী কিছু ব্যক্তি রোগীদের নিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগেও অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং শাস্তি দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পর তারা আবারও একই কাজে জড়িত হয়, যা প্রমাণ করে যে এটি তাদের পেশায় পরিণত হয়েছে। তাদের নির্মূলে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।"
তিনি আরও বলেন, "আজকের অভিযানে এনএসআই-এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে দালাল নির্মূল কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।"
সায়মা ইসলাম