
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এর কাজ দুই বছরের জন্য পাওয়ার পর থেকেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সক্ষমতা বৃদ্ধির কাজ দ্রুতগতিতে চলছে।
এই সময়কালে, প্রায় ৯০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি যুক্ত হয়েছে বিমানের জিএসসি (Ground Service Control) বিভাগে। আগামী ছয় মাসে আরও প্রায় ১৫০ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি বিমানবন্দরে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
বুধবার নতুন যন্ত্রপাতিগুলোর কমিশনিং কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিমান ও সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, "তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশনকে সামনে রেখে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। চালুর দিন থেকেই বিশ্বমানের সেবা প্রদান করা হবে।"
এদিকে সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যানও বলেন, "বর্তমান টার্মিনালে সীমিত সক্ষমতায় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ব্যবস্থা কার্যক্রম চালানো হলেও, তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনায় আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে কোনো রকম ছাড় দেয়া হবে না।"
সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী চললে, চলতি বছরের শেষে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশন শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে এই টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পাবে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
তবে, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিমান চেয়ারম্যান আশাবাদী যে, এই দুই বছরের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিমান স্থায়ীভাবে এবং এককভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব পাবে।
আশা করা হচ্ছে যে, তৃতীয় টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হলে, এটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উভয়ের জন্য বড় ধরনের উন্নতি এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত হবে।
আফরোজা