ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পুতুলের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যে গোমর ফাঁস করলেন সাইয়েদ আব্দুল্লাহ

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ৫ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ১২:৩৯, ৫ মার্চ ২০২৫

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পুতুলের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যে গোমর ফাঁস করলেন সাইয়েদ আব্দুল্লাহ

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, এই নিয়োগ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এবং বড় অঙ্কের লেনদেনের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাইয়েদ আব্দুল্লাহ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের নভেম্বরে WHO-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয় ভারতের রাজধানী দিল্লিতে। এই ভোটাভুটিতে বাংলাদেশ সরকারের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নেপালের বিশিষ্ট চিকিৎসক ড. শম্ভু প্রসাদ আচার্য, যিনি অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার দিক থেকে এগিয়ে ছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

তবে অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ সরকার এই নির্বাচনে ভারতকে সাথে নিয়ে ব্যাপক লবিং ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার করেছে। তৎকালীন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সরাসরি এই প্রক্রিয়ার সমন্বয়ক ছিলেন বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পুতুলকে জিতিয়ে আনার জন্য বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেন হয়েছে, যা দুর্নীতির সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।

সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামক একটি সংস্থা রয়েছে, যা বিভিন্ন কর্পোরেট গ্রুপের কাছ থেকে অনুদান গ্রহণ করে। অভিযোগ রয়েছে, রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার বিনিময়ে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ী গ্রুপগুলো এই ফাউন্ডেশনে বিপুল পরিমাণ অর্থ দিয়েছে। বিশেষ করে বেক্সিমকো গ্রুপ, এস আলম গ্রুপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের তথ্য সামনে আসছে। সাম্প্রতিক সময়ে এই ফাউন্ডেশন নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে, যা আরও বড় দুর্নীতির চিত্র উন্মোচন করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সাইয়েদ আব্দুল্লাহর মতে, যদি সঠিকভাবে তদন্ত চালানো হয়, তবে WHO-এর আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে সায়মা ওয়াজেদের নিয়োগ দুর্নীতির দায়ে বাতিল হতে পারে। শুধু তাই নয়, এই তদন্তের মাধ্যমে হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক পর্যায়ে দুর্নীতির নানা দিক তুলে ধরা সম্ভব হবে।

এর আগে শেখ হাসিনার ভাগ্নি, ব্রিটিশ সংসদ সদস্য টিউলিপ সিদ্দিকিও অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে সমালোচনার মুখে পড়েন এবং মন্ত্রিত্ব হারান। এবার যদি WHO-তে সায়মা ওয়াজেদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির প্রমাণ মেলে, তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ সরকারের গ্রহণযোগ্যতা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

সুত্র : https://www.facebook.com/share/p/1DXVA2qDaE/

আসিফ

×