
দিল্লির আকাশে এখন শুধুই দূষণের ধোঁয়া নয়, বরং দুশ্চিন্তার কালো মেঘ ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বে ভারত প্রতিদিনই পাকিস্তানের ভূত দেখে বেড়াচ্ছে, আর সেইসাথে বাড়ছে দেশটির ভাটবকা—বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোর অপপ্রচার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ অস্থিতিশীল হয়েছে। ভারতের শাসকরা যতই নিজেদের হাল ধরতে চায়, ততই তাদের বুকের ভেতর এক অজানা আতঙ্ক বাড়ছে। এই আতঙ্কের উৎস বাংলাদেশ, এবং এর জন্য তারা নিয়মিত অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সম্প্রতি ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই বাংলাদেশে তৈরি তুরস্কের ড্রোনের ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, বাংলাদেশ ভারত সীমান্তের কাছাকাছি অঞ্চলে এই ড্রোনগুলো ব্যবহার করছে নজরদারি এবং সীমান্ত পর্যবেক্ষণ করার জন্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ড্রোনের মধ্যে টিভি টু বাইরা ড্রোন অন্তর্ভুক্ত, যেগুলো ভারতীয় সীমান্তে নজরদারি করতে দেখা গেছে। তবে, এই দাবির পক্ষে ভারত কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ হাজির করতে পারেনি, এবং এর সত্যতা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়নি।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্তমানে কোন ড্রোন উড়াচ্ছে না এবং সীমান্তের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রুটিন দায়িত্ব পালন করছে। উল্টো, ভারতের বিএসএফ বাংলাদেশ সীমান্তে বারবার আন্তর্জাতিক আইন ভেঙে বেড়া দেয়ার চেষ্টা করেছে, সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে এবং সীমান্তবর্তী ভারতীয়দেরও উসকানি দিয়েছে।
এমতাবস্থায়, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের অব্যাহত হস্তক্ষেপ দেশের মধ্যে এক নতুন রাজনৈতিক আলোড়ন সৃষ্টি করছে।
সূত্র : https://www.youtube.com/watch?v=v9tR2RO2fwk
রাজু