
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ঝড়ে পরা রোধে সরকার উপবৃত্তি চালু করে। ২০২৩ সালে যশোরের কালাই উপজেলার আওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে উপবৃত্তির সুবিধা ভোগ করে প্রতিষ্ঠানটির দুই শতাধিক শিক্ষার্থী। সে বছরই ৪৯ জন শিক্ষার্থী অন্য বিদ্যালয়ে চলে গেলে দুই কিস্তি থেকে তাদের নামে উত্তোলন করা হয় ১,৫৯,০০০ হাজার উপবৃত্তির টাকা। সম্প্রতি স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা অফিসের একাধিক তদন্তে উঠে এসেছে এর সত্যতা।
অভিভাবক ও স্থানীয়দের অভিযোগ শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে আসলেও ঠিকমতো হয় না ক্লাস। দুপুরের আগেই ছুটি হয়ে যায় সব ক্লাস।
এছাড়া আয়া পদে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা খান এক নারীর কাছ থেকে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও দাবি করেছেন ভুক্তভোগী।
এলাকাবাসীদের দাবি উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ ও নিয়োগ বাণিজ্যে প্রধান শিক্ষকের সাথে কাজ করেছে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহারুল ইসলাম ও অফিস সহকারী মামুনুর রশিদ।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা খান ও শাহারুল ইসলাম।
উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে উর্ধতন কর্তৃপক্ষজে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কালাই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক, সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের যে অভিযোগ আমরা পেয়েছিলাম তার সত্যতা পেয়েছি। আমাদের পরে জেলা পর্যায় থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং জেলা শিক্ষা অফিস থেকেও দুইটি তদন্ত করা হয়েছে।