
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, প্রফেসর ইউনূস বলেছিলেন যে আমরা যদি ব্যর্থ হই। তাহলে রাষ্ট্র বিপন্ন হতে পারেন। তারই ধারাবাহিকতা সেনাপ্রধান সামরিক কায়দায় তিনি সতর্ক করে দিয়েছেন। জাস্ট বলার জন্য বলা। এরকম তিনি বলেননি।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে আমাদের সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করছে। তা না হলে দেশে অরাজকতা আরও বেড়ে যেত। যেটা করার কথা ছিল পুলিশ বাহিনীর। কিন্তু বর্তমানে পুলিশ বাহিনীর যে অবস্থা। পুলিশ বাহিনীর মনোবল আসলে ভেঙ্গে গেছে। এটা কভার করতে আরও কয়েক যুগ লেগে যেতে পারে।
প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের সামনে ছাত্রীরা স্কুল গেইটের বাহিরে এসে বিক্ষোভ করছে ধর্ষণের বিরুদ্ধে। কোন কোন নারী এই অভিব্যক্তি করেছেন যে মেয়ে হয়ে জন্মই যেন আজন্ম পাপ।
তিনি বলেন, বর্তমানে আন্তঃজেলা বাসগুলোর মধ্যে একই সঙ্গে ডাকাতির ও ধর্ষন দুটোই চলছে। আবার এমন একটা পরিস্থিতির জন্ম হচ্ছে যে, ঘটনা ঘটেছে দুই সীমানার মধ্যে যেখানে দুই ওসি আবার মামলা নিতে তিন দিন দেরি করেছে। এরই মধ্যে সেই বাসের ড্রাইভার ও হেল্পার জামিন নিয়ে ফেলেছে। এটি ভয়ংকর রুপে মিস গভারনেন্সির একটি উদাহরণ।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার অবসান এবং প্রফেসর ড. ইউনূসের শাসন শুরু। এটি আমাদের সকলের প্রত্যাশার এমন একটি জায়গায় নিয়ে গেছে যে। এটি এখন --------। এতে করে যে পরিমান হতাশার জন্ম দিচ্ছে। তাতে করে যদি নৈরাজ্যের জন্ম দেয়। সেই দুঃখ আমরা রাখব কোথায়। সব মিলিয়ে আমাদের খাদের কিনারায় দাঁড়ানোর মতো অবস্থা তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রফেসর ইউনূসের সেই বানী যে রাষ্ট্র বিপন্ন হতে পারে যদি আমরা ব্যর্থ হই। সেই ব্যর্থ হওয়ার ঠিক খাদের কিনারায় এসে পৌঁছে গেছে। এটি এখন আর আড়ালে আবডালে নেই। মোটামুটি এটা এখন সবাই আলোচনা করছে। জনগণের মন যদি একবার ভেস্তে যায়। তাহলে কিন্তু একটা বিস্ফোরণ হতে পারে। এখনও সময় আছে ফিরে দেখার। আমাদের দ্বিতীয় কোন জায়গায় নেই দাঁড়ানোর মতো। যেকোন মূল্যে তা রক্ষা করতে হবে।
শহীদ