ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫, ২১ ফাল্গুন ১৪৩১

রমজানে ভোজ্যতেল সংকট

আমরা দেখতে চাই, রাষ্ট্রের শক্তি বেশি নাকি ব্যবসায়ীদের শক্তি বেশি!

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ৫ মার্চ ২০২৫; আপডেট: ০৫:২৭, ৫ মার্চ ২০২৫

আমরা দেখতে চাই, রাষ্ট্রের শক্তি বেশি নাকি ব্যবসায়ীদের শক্তি বেশি!

ছবি : সংগৃহীত

রমজানে ভোজ্যতেলের সংকট নিরসনে একাধিক বৈঠকের পরও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফরিদা খানম। তিনি জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে কার্যকর সমাধান না এলে রাষ্ট্র নিজেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) এক বৈঠকে ডিসি ফরিদা খানম বলেন, “আমরা ইতোমধ্যে চার দফা বৈঠক করেছি, কিন্তু এখনো ভোজ্যতেলের সংকট কাটেনি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। ব্যবসায়ীদের নেতৃত্ব কেমন হচ্ছে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা ব্যবসায়ীদের প্রতি যথেষ্ট সম্মান রেখেই আলোচনা করেছি, কিন্তু যদি দ্রুত সমাধান না আসে, তাহলে আমরা আর অপেক্ষা করব না। প্রয়োজন হলে রাষ্ট্রীয় পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সম্প্রতি চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পরিচালিত বিশেষ অভিযানের কথা উল্লেখ করে ডিসি বলেন, “ঢাকাসহ সারাদেশে এই অভিযান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। যদি দুই দিনের মধ্যে চট্টগ্রামের ভোজ্যতেলের সরবরাহ স্বাভাবিক না হয়, তাহলে আমরা সরাসরি গোদামে অভিযান চালাব।”

তিনি আরও বলেন, “এবার আমরা খুচরা বাজারে অভিযান করব না, বরং সরাসরি গুদামে অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নেব। শুধু অভিযান চালিয়েই শেষ করব না, বরং দায়ী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জেলসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশেষ করে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক গ্রুপগুলোর নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যদি কোনো প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়িক গ্রুপের কাউকে ১০ দিনের জন্যও জেলে পাঠানো হয়, তবে সেটি তাদের জন্য বড় ধাক্কা হবে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”

ব্যবসায়ীদের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিসি ফরিদা খানম বলেন, “আজকের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় কাল থেকে রাষ্ট্র ব্যবস্থা নেবে এবং অভিযান আরও জোরদার হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা দেখতে চাই, রাষ্ট্রের শক্তি বেশি নাকি ব্যবসায়ীদের শক্তি বেশি। আমাদের সঙ্গে ছাত্র সমন্বয় থাকবে, এবং প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সরকারের এমন কঠোর অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসায়ীদের কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটি এখন দেখার বিষয়।

মো. মহিউদ্দিন

×