
ছবি: সংগৃহীত
ব্যারিস্টার মীর হেলাল উদ্দীন বলেন, নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার বিচার। এটা সারজিস আলম তার আবেগ থেকে বলেছেন। কারন, আরও কিছুদিন পরে যখন তিনি প্রক্রিয়াগুলো বুঝবেন, যখন বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও পরিশীলিত হবেন। তখন হয়ত বোঝা যাবে যে, উনি কি বুঝাতে চেয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪মার্চ) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে যদি শেখ হাসিনা আরও দশ বছর না আসতে পারে। তাহলে কি নির্বাচন হবে না? একটি অনির্বাচিত সরকারের কাছে দেশ কি দশ বছর থাকবে? এটা বাস্তব সম্মত না। এটা পৃথিবীর কোন দেশের আইনেই এটা কভার করেনা।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, নির্বাচন এবং বিচার বিভাগ। এ দুটো ভিন্ন জিনিস। এদুটোকে এক করার কোন সুযোগ নেই। এক দিকে দেশের জনগণ বিচার চাচ্ছে। আবার অন্য দিকে নির্বাচনও চাচ্ছে। বিচারের একটা নিজস্ব গতি আছে। তার গতিতে চলবে। আর নির্বাচনের যে প্রক্রিয়া চলছে। তা চলা দরকার। কারণ দীর্ঘদিন একটা অনির্বাচিত সরকার থাকলে তা দেশের জন্য মঙ্গলজনক নয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের আইনের একটা ফৌজদারি কার্যবিধি আছে। প্রত্যেকটা মামলায় ২০০ থেকে ৩০০ আসামি করা হয়েছে। যদি তাদের বিচার কার্যবিধি চালানো হয়। তাহলে তাদের প্রত্যেককে তদন্ত সাপেক্ষে চার্জশীট গঠন করতে হবে। আর শেখ হাসিনার বিচার করতে যদি রেগুলার বিচারিক কার্যক্রম চলে। তাতেও প্রায় দেড় থেকে দুই বছর লেগে যাবে।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, আমরা যে নতুন সংবিধানের দাবি করছি। সেটা যদি অমূলক হইতো তাহলে সংবিধানের ১৫৩ অনিচ্ছেদের মধ্যে বিএনপি কিন্তু ৬২টি অনুচ্ছেদটি সংশোধনের জন্য কমিশনে জমা দিয়েছে। এখন সবগুলো রাজনৈতিক দলগুলো একমত। ৭২এর যে সংবিধান এটা দিয়ে সামনের দিকে যাওয়া যাবে না। এটাকে সংশোধন করতেই হবে।
শহীদ