ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

আমরা আগের রাজনীতি চাই না

অনলাইন রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০২:৩১, ৫ মার্চ ২০২৫

আমরা আগের রাজনীতি চাই না

সিপিবি নেতা শরিফুজ্জামান শরিফ

সিপিবি নেতা শরিফুজ্জামান শরিফ বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে প্রায় আমরা সাত মাস পার করে ফেলেছি। এই সময়ে দেশে নানা ধরণের রাজনৈতিক মতাদর্শ, নানা ধরণের রাজনৈতিক কৌশল, নানা ধরণের রাজনৈতিক বক্তব্য এর উদ্ভব হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪মার্চ) একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন। কখনো কখনো সেটি পরিস্থিতিকে ভিন্নভাবে বিশ্লেষন করেছে। আবার কখনো কখনো জটিলতা তৈরি করেছে। আমরা একটা জায়গায় এসেছি। আবার বিচ্ছিন্ন হয়েছি। কিন্তু এর ভেতর থেকে সংকট ঘনিভূত হয়েছে, সমস্যা ঘনিভূত হয়েছে। মানুষের জীবনের যে সংকট তা ক্রমশ পেছনে চলে গেছে।

তিনি বলেন, এই মুহুর্তে মিডিয়াগুলোতে যে আলোচনা হয়। তার বেশিরভাগই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাডি সার্কেলের আলোচনা। আমি দেখি মধ্যবিত্তের ড্রয়িং রুমের ইস্যু। এই সময়ে আমাদের শিক্ষার্থীদের হাতে বই থাকার দরকার ছিল। বছরের তিন মাস পার হয়ে যাচ্ছে। এখনো ক্লাসে বই পৌঁছায়নি। দ্রব্যেমূল্যের নিয়ন্ত্রণের যে আকাঙক্ষা তা বাস্তবায়িত হয়নি। সিন্ডিকেট এখন পর্যন্ত ভাঙ্গতে পারেনি। বাজারে সয়াবিন তেল এই আছে, এই নেই। সকালে আছে তো বিকেলে নেই।

আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, একটা দেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাতের তিনটার সময় সংবাদ সম্মেলন করেন। আমাদের এখানে একটা ঘটনা ঘটেছিল। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাজমুল হোসেন কলিমুল্লা স্যার  রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে ক্লাস নিয়ে ছিলেন।   
অথচ আমাদের প্রধান উপদেষ্টা বলছেন। আইনশৃঙ্খলা আগে যেমন ছিল এখনও তাই আছে। এই জায়গাগুলো যেমন উন্নয়ন ঘটানো দরকার ঠিক তেমনি আমাদের একটি গণতান্ত্রিক শাসনের দিকে যাওয়া দরকার।

সিপিবি নেতা বলেন, এর আগে শেখ হাসিনা যে শর্ত দিতেন গণতন্ত্র চান নাকি উন্নয়ন চান? আজকে যে কথাগুলো বলা হচ্ছে, সংস্কার চান নাকি নির্বাচন?  আমি মনে করি যে আমি সবগুলোই চাই। কারণ আমি এই রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে সবই আমি চাই। আমার সাথে শেখ হাসিনার বা আওয়ামী লীগের কোন ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল না। আমার বিরোধ ছিল আমরা যেভাবে থাকতে চাইতাম রাষ্ট্র সেভাবে রাখেনি। গত রোজার সময় তৎকালীন শিল্পমন্ত্রী বলেছিলেন যে বড়ই দিয়ে ইফতার করতে। আমরা সেই জায়গায় থেকে মুক্তি চেয়েছিলাম বলেই আমরা আন্দোলন করেছি।

শরিফ বলেন, পরিবর্তনের জায়গায় আমরা দেখছি যে কিছু দিন পরপর আহতরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে চিকিৎসার জন্য আন্দোলন করছে। আমাদের এই রকমের একটা পরিস্থিতি হবে এটা আমরা চাই নাই। একই সাথে জনগণের হাতে ক্ষমতা যাবে এটাই আমরা চেয়েছি। সারজিস আলমের যে বক্তৃতা আমরা শুনছি। এই যে, যদি, কিন্তু, সুতরাং একটা রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন তারা চাইতে পারে। কিন্তু এমন কথা বলা উচিত না যেখানে বাংলাদেশের মানুষের যে সেন্টিমেন্টের জায়গা। সেই জায়গায় যেন আঘাত না হয়।

তিনি বলেন, সারজিস আলমের এই বক্ততা থেকে আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। কারণ এই সারজিস আলম এক সময় শেখ হাসিনার একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। এখন সেই সারজিসই শেখ হাসিনার ফাঁসি চাচ্ছে। 
 

শহীদ

×