
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জবান এর সম্পাদক রেজাউল করিম রনি
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জবান এর সম্পাদক রেজাউল করিম রনি বলেন, আমরা অভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়ে যে ঐক্য তৈরি করেছি তা রক্ষা করা। এখন এই ঐক্য কি রক্ষা হবে সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে বিতর্ক করলে? নির্বাচন এবং সংস্কার মুখোমুখি দাঁড় করালে? নাকি এমন একটা ভাষায় কথা বলতে হবে। সমস্ত দলগুলোর মধ্যে অভ্যুত্থানের আগে যে ঐক্যটা ছিল। এখন তারাও একটি নতুন দল হিসেবে আত্ম প্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। অন্যান্য যে দল যারা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল সেই সমস্ত দলগুলোর যে দাবি এর মধ্যে যদি একটা এক্যবদ্ধ অবস্থা না থাকে। তাহলে নির্বাচন কেন এখন যে অরাজকতা, দ্রব্যমূল্য, আইনশৃঙ্খলা, সিন্ডিকেটসহ নানা যে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, এই টোটাল অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য দরকার হলো ঐক্য।
মঙ্গলবার (৪মার্চ) একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
জবান এর সম্পাদক বলেন, ঐক্যর ক্ষেত্রে এক অংশ ফ্যাসিবাদ বিরুদ্ধে আন্দোলনের সবাইকে যদি আমরা একদিকে ধরি আর ফ্যাসিবাদ যদি আর এক দিকে ধরি তার মধ্যে সমস্ত রাজনৈতিক দল হোক বা সামাজিক সংগঠন হোক। তাদের চাওয়ার মধ্যে একটা ঐক্য আমাদের মধ্যে খুঁজে বের করতে হবে। এখন সেই চাওয়ার মধ্যে বড় দলগুলো চাচ্ছে দ্রুত নির্বাচন দিলেই এই যে অরাজকতার অবসান হবে।
তিনি আরোও বলেন, নতুন রাজনৈতিক দলের কয়েকজনের বক্তব্য এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বক্তব্য। জামায়াতে ইসলামী দুই ধরনের কথা বলে। কখনো কখনো বলে সরকার যুক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিবে। আবার কখনো তারা বলে যে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। এই যে দুই ধরণের বক্তব্য এটাই হচ্ছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যে একটা অনৈক্য এর একটা প্রধান কারণ।
জবান এর সম্পাদক রেজাউল করিম রনি বলেন, এই অনৈক্যের কারণে সারজিস আলম যে ভাষায় কথা বললেন, সেটা আরও অন্য ভাষায় বলা যেত। উনি যেটা বলেছেন যে শেখ হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে দেখার আগে আমরা যেন ভূলেও নির্বাচনের কথা উচ্চারণ না করি। এই ভাষায় আপনি কথা বলতে পারেন না। জনগণ কি চাইবে না চাইবে এটা আপনার বলার এখতিয়ার নেই। অভ্যুথানে পরে যে জনগণ সবচেয়ে যে শক্তিটার পরে আস্থা রাখে যাদের আচরণটা হয় মধ্যে পন্থা বা নরম। যাদের সবাইকে ধারণ করে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে অবশ্যই নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন করতে হবে। অবশ্যই জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ করার ক্ষমতা দিতে হবে। অভ্যুত্থানের পরে একটি জাতীয় সরকার গঠন করে বিএনপি যেতে পারতো। কিন্তু বিএনপি কিন্তু সেই পথে হাটেনি। তারা চাচ্ছেন একটি নির্বাচিত সরকার যে দেশ চালানোর ক্ষমতা পায় এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরে পায়।
শহীদ