ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৫ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নিয়ে আপিলের পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:০২, ৫ মার্চ ২০২৫

মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স নিয়ে আপিলের পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ

মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়সসীমা ১২ মার্চ

মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়সসীমা নিয়ে আপিলের পরবর্তী শুনানি ১২ মার্চ। অন্যদিকে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। মঙ্গলবার আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ আদেশ প্রদান করেছেন। 
মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়সসীমা নির্ধারণ করে জারি করা পৃথক গেজেট-পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি আগামী ১২ মার্চ। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আংশিক শুনানির পর পরবর্তী শুনানির এই দিন ধার্য করেন। আদালতে রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিট আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত।
২০১৪ সালের জুনে এক সার্কুলারে মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বসয়সীমা ১৩ বছর নির্ধারণ করা হয়। এরপর ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর ‘মুক্তিযোদ্ধা এর সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ’ করে গেজেট করা হয়। এতে বলা হয়, ‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুন করে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে ন্যূনতম ১৩ বছর হতে হবে।’ ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি এটি সংশোধন করে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১২ বছর ৬ মাস।

এসবের  বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধারা হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন। সে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বিভিন্ন সময়ে রুল দেন। সেসব রুলের ওপর একসঙ্গে শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ১৯ মে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স নির্ধারণে সরকারকে সীমিত ক্ষমতা দেওয়াু সংক্রান্ত ২০১৮ সালের বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের ২(১১) বিধানে অংশবিশেষ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হয়।

সেই সঙ্গে রিট আবেদনকারীদের বন্ধ করা সম্মানী ভাতাদি চালু করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যূনতম বয়সসীমা নির্ধারণ করে সরকারের জারি করা পৃথক গেজেট-পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট ওই রায়ের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের করা লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
চেয়াম্যানের বৈধতা জানতে রুল ॥ বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে  গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমাযুন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন ও অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিকুর রহমান। তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট একরামুল কবির ও অ্যাডভোকেট মো. ঈসা।

×