
ছবি: সংগৃহীত
কুতুবশাহী মসজিদের বয়স প্রায় ৪০০ বছর। নানা লোককথা, কিংবদন্তী ঘিরে আছে মসজিদটির ইতিহাস। সবচেয়ে বড় ধাঁধা হয়ে আছে মসজিদটির পাঁচটি গম্বুজ। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িয়ে আছে আধ্যাত্মিক এক সাধকের নাম। আর এটিই মসজিদকে পরিণত করেছে মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। আনুমানিক ষোড়শ শতাব্দীতে ধলেশ্বরী নদের কোল ঘেসে গড়ে ওঠে কুতুবশাহী মসজিদ। কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই মসজিদ নিয়ে আছে নানা কিংবদন্তী।
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের হাওড় অঞ্চলে ভ্রমণে এলে নান্দনিক কারুকার্য খচিত এই মসজিদে ঢু মারেন পর্যটকরা, আদায় করেন নামাজও। ষোড়শ শতকে মহাবীর ঈশা খাঁর মিত্রশক্তি মজলিস কুতুব এখানে আগমন করেছিলেন এবং শাহ মজলিস কুতুব ওরফে কুতুব শাহর কর্তৃক এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছিল। যে কারণে এটাকে কুতুব শাহী মসজিদ হিসেবে ইতিহাসে নামকরণ করা হয়েছে।
অষ্টগ্রামে গড়ে ওঠা প্রাচীন এ মসজিদের ভেতরে ঢুকলেই চোখে পড়ে একটি নাম ফলক। সেই ফলকে খোদাই করে লেখা রয়েছে মসজিদের ইতিহাস ও আদ্যপ্রান্ত। কুতুবশাহী মসজিদটি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর কর্তৃক ১৯০৯ সালে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে কর্তৃক এটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়। ইতিহাসের পাতায় ঠাই করে নেওয়া অপূর্ব স্থাপত্যশৈলীর কুতুবশাহী মসজিদ ঘুরে ফিরে দেখলে মন জুড়িয়ে যায়। এ মসজিদের পূর্ব দেয়াল তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালে দুটি করে চারটি সহ মোট সাতটি সুলতানি খিলান যুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে। পূর্ব দেয়ালের প্রবেশপথের বিপরীতে পশ্চিম দেয়ালে তিনটি মেহরাব রয়েছে। মসজিদের প্রতিটি দরজা মেহরাব ও খিলানে স্থান পেয়েছে গোলাকার ফুল ও সরপিলো বিশিষ্ট টেরাকোটার অলংকার।
১৯০৯ সালে মসজিদটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে ঘোষণা করে সরকার। তবে ২০২০ সালে মসজিদ দেখভাল করার জন্য খাদেম নিয়োগ করে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর।
আবীর