
ছবিঃ সংগৃহীত
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য তার অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে বলেছেন, আমার মতো পেশায় যারা আছেন দেশে বা বিদেশে কখনো আমার মতো, আমার লেভেলে, আমার মতো ইন্টেন্সিটিতে, ক্ষমতার সাথে মুখোমুখি সংঘাতের একটিভিজম করবে না। আপনি দ্বিতীয় কোন ব্যক্তিকে দেখাতে পারবেন না যে এই কাজ করে বা করেছে। আমার মতো টাইম, ইনভলভমেন্ট, কমিটমেন্ট নিয়ে কেউ এই ধরনের বিপদজনক এক্টিভিজম করবে না।
প্রথম কারণ, এই এক্টিভিজমের স্ট্রেস কেন একজন মাল্টিন্যাশনালের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ নিবেন? এই ভয়াবহ লেভেলের শত্রুতা রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা নেয় শুধু। একজন রাজনৈতিক দলের বাইরের মানুষের এই ভুমিকা নেয়ার কোন কারণ নাই। সে ক্ষমতাতেও যাবেনা, সরকারের অংশও হবেনা। দুই নাম্বার কারণ, সে টাইমই পাবেনা। আমার মতো দিনে তিন থেকে চার ঘন্টার ঘুম দিয়ে জীবনীশক্তিকে কেন সে শেষ করবে? আসলেই কোন কারণ নাই।
এইবার দ্বিতীয় প্রশ্ন, আমার মতো বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক জীবনের কেউ কি আসলে পেশায় এই জায়গায় আসতে পারে? হ্যা তা হয়তো পারে, কিন্তু সেই সংখ্যা নগন্য। খুবই নগন্য-হাতে গোনা। তার মানে আমার মতো মানুষ কর্পোরেট লেভেলে সিনিয়র পর্যায়ে খুব বেশি নাই। তার দক্ষতা বা যোগ্যতা দেখার আগে তার রাজনৈতিক বর্তমান ও অতীতের কারণেই তাকে চাকরিতেই নেবেনা। কে ঝামেলা নিতে চায়? সে আরেকজনকে চাকরিতে নেবে যাকে নিলে সেই প্রতিষ্ঠান ঝামেলায় পড়বে না।
ফাইনালি, আমার মতো ঘাড়ত্যাড়া, একরোখা, গোয়াড় লোক উপরের এই দুই ক্যাটাগরিতে থাকেনা। এমন গোয়ার লোকের চাকরিই হয়না। হয়ে গেলেও সে টিকতে পারেনা চাকরিতে।
আমার নিজের এই ইউনিক অবস্থাই আমাকে বিপদজনকভাবে ভালনারেবল করে তুলেছে। একটা জিনিস ভেবে দেখেন তো, বাংলাদেশ মাইনাস পিনাকী ঠিক কেমন হবে? আমি নাই একেবারেই নাই। এই এক্টিভিজমে নাই। এটা বুঝার জন্য একটা এক্সারসাইজ। হ্যা অনেকেই খুব খুশী হবে। আনন্দ করবে। কিন্তু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে কোন ছাপ পড়বে না?
যদি না পড়ে তাহলে আমি বেঁচে গেলাম। কিন্তু সত্যিই যদি কোন ইম্প্যাক্ট পড়ে তাহলে আমি বিরাট বিপদের মুখে আছি। ঠিক কিনা? আমি ভীত নই।
রিফাত