
ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ইউএসএআইডির অর্থায়নে ২৯ মিলিয়ন ডলারের "স্ট্রেংদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ (এসপিএল) ইন বাংলাদেশ" শীর্ষক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই প্রকল্প নিয়ে কিছু তথ্য প্রদান করেন, যা জনমনে ব্যাপক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। এ প্রেক্ষিতে বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান করেছে।
অনুসন্ধান থেকে জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইউএসএআইডি যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল (ডিআই) প্রতিষ্ঠানকে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন করে। প্রকল্প প্রস্তাবনার আহ্বানের পর অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে এবং একটি স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইউএসএআইডি সিদ্ধান্তটি গ্রহণ করে। ২০১৭ সালের মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডিআই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে এবং পরবর্তীতে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়, যার অর্থ ধাপে ধাপে এসেছে।
শুরুতে এসপিএল প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল ৫ বছর এবং বাজেট ছিল ১৪ মিলিয়ন ডলার। এই প্রকল্পের ব্যবস্থাপনায় ছিল ইউএসএআইডি এবং অর্থায়নে ছিল ইউএসএআইডি ও যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডিএফআইডি (বর্তমানে এফসিডিও)। ডিএফআইডির অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল ১০ মিলিয়ন ডলার।
এসপিএল প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক সহিংসতা হ্রাস করা, শান্তি ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি, দলগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার উন্নয়ন করা। প্রকল্পের অধীনে ডিআই বাংলাদেশে জরীপ কার্যক্রমও পরিচালনা করেছে।
উল্লেখযোগ্য যে, ইউএসএআইডি প্রকল্পের ক্ষেত্রে মার্কিন সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নীতি অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক, এবং আর্থিক নিরীক্ষার প্রক্রিয়া কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। প্রকল্প শেষ হওয়ার পরও প্রয়োজন হলে নথিপত্র পুনর্নিরীক্ষা করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে এসপিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করে। সুতরাং, ট্রাম্পের অভিযোগ যে এটি বাংলাদেশের দুই ব্যক্তির মালিকানাধীন সংস্থাকে প্রদান করা হয়েছে, তা সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে, এ ধরনের প্রকল্প বাংলাদেশের ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগিতা চুক্তির (DOAG) মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়, যেখানে ব্যক্তির কোনো হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকে না।
এম.কে.