
ছবি: সংগৃহীত।
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ এর ডান হাত হিসেবে পরিচিত পুলিশ পরিদর্শক রুমি কাউসার, যিনি রুবেল নামেও পরিচিত, দুর্নীতি ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে সুনাম অর্জন করেছেন। পুলিশ বাহিনীর এই কর্মকর্তা তদবির বাণিজ্য, জমির অবৈধ দখল এবং দালালির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। তার এই অবৈধ ব্যবসা এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ উঠেছে।
তদন্তে জানা গেছে, রুমি কাউসার তার পদবী এবং পুলিশ বাহিনীর প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে বিশাল অট্টালিকা নির্মাণ এবং জমি কিনে ডেভেলপমেন্ট ব্যবসায় সক্রিয় ছিলেন। শুধু দেশেই নয়, দুবাইতেও তার আবাসন ব্যবসার খবর পাওয়া গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিলাসবহুল জীবনযাত্রার ছবি দেখে মনে হয়, তিনি বড় কোনো ব্যবসায়ী বা আরব শেখ। তবে বাস্তবে তিনি বাংলাদেশের পুলিশের একজন নবম গ্রেডের কর্মকর্তা।
রুমি কাউসারের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বিলাসী জীবনযাপনের নানা ছবি শেয়ার করার ফলে পুলিশের অন্যান্য সদস্যরা তার প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হন। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে নিজের ফেসবুক আইডিতে আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি শেয়ার করে তিনি ক্ষমতার প্রতীক হিসেবে এসব অস্ত্রের ছবি পোস্ট করেন। তার ফেসবুক ওয়ালে বিভিন্ন সময় বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ, বিদেশী সফর, এবং সমুদ্র সৈকতে খালি গায়ে ছবি পোস্ট করা হয়েছে। এছাড়া, তিনি প্লট ও ফ্লাইট বিক্রির বিজ্ঞাপনও দিয়েছেন তার আইডিতে।
২০০৩ সালে উপপরিদর্শক পদে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেওয়া রুমি ২০১০ সালে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের সান্নিধ্যে এসে দ্রুত প্রভাবশালী হয়ে উঠেন। তার পর, একের পর এক জমি কেনা এবং অট্টালিকা নির্মাণের মাধ্যমে এক বিশাল ব্যবসা সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। ২০২২ সালে বেনজির আহমেদ অবসরে যাওয়ার পর রুমি কাউসার তার সরকারি চাকরি থেকে বিশাল অঙ্কের সম্পদ অর্জন করেন।
যদিও রুমি কাউসার কিংবা তার প্রতিনিধিরা এই অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=VT2kdNcq3Fo&ab_channel=KalbelaNews
নুসরাত