
ছবিঃ সংগৃহীত
কেবল বিরোধিতার জন্যই অন্তবর্তী সরকারে থাকা গণঅভ্যুত্থানে দুই প্রতিনিধি নিয়ে এত কথা হচ্ছে বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি। তারা বলছে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ না থাকলে এই সরকারের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে পারে।
একটি বেসরকারি গণমাধ্যমে দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন ও যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, অহেতুক সমালোচনা না করে সরকারের কি সুবিধা পাচ্ছে নাগরিক পার্টি তা নিয়ে অনুসন্ধান হোক।
গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বের হাত ধরে ২৮ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ ঘটে জাতীয় নাগরিক পার্টির। সেই সঙ্গে যে প্রশ্নটা বেশি করে উঠছে তা হলো, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ ছেড়ে নাহিদ ইসলাম নতুন রাজনৈতিক দলের হাল ধরলেও এখনো সরকারে রয়ে গেছেন গণঅভ্যুত্থানের দুই ছাত্র প্রতিনিধি।
এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহবায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, এত গোয়েন্দা আছে আপনারা খোঁজ নেন। সাংবাদিকরা আছেন আপনারা খোঁজ নেন কোথায় কতটুকু সহযোগিতা আমরা সরকারের কাছ থেকে পেয়েছি। সুনির্দিষ্ট যদি কিছু থাকে আমাদের জানান সেটা। নাহলে যারা বলছে তারা যৌক্তিকভাবে বলছে না, শুধু রাজনৈতিক বিরোধিতা থেকে বলছে।
এ বিষয়ে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, নাহিদ ইসলাম চাইলে পারতেন এখানে অন্য কাউকে বসিয়ে নিজে সরকারে থেকে দলটাকে পরিচালনা করা। জনতার পক্ষ থেকে তাকে ডাকা হয়েছে, তিনি সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে তিনি নেমে এসেছেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি বলছে, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ নবগঠিত নতুন দলের প্রতিনিধি নয়। এই দুইজন গণঅভ্যুত্থানের মুখ। অন্তর্বর্তী সরকার থেকে তারা সরে আসলে প্রশ্ন উঠতে পারে সরকারের বৈধতা নিয়েও।
সরোয়ার তুষার বলেন, তারা আসলে গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি। তারা যদি চলে আসে, গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত সরকারের কোন লেজিটিমেসি থাকে না। তাহলে ওয়ান ইলেভেন সরকারের মত হয়ে যায়, তাই তাদের থাকতে হচ্ছে।
সামান্তা শারমিন বলেন, সরকারে থেকে দল গঠনের যে বক্তব্য বারবার আসছে। এখানে এটা যদি এখনো পরিষ্কার না হয় তাহলে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার মত একটা অস্ত্র হিসেবে শুধু থেকে যাচ্ছে। যদি আমাদের প্রয়োজন হতো তাহলে তিনি সরকারে থেকে যেতে পারতেন। কিন্ত আমরা এই মুহুর্তে সরকারের পদ-পদবী এইসবের জন্য কেউই লোভ করছি না।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, উপদেষ্টার পদ থেকে সরে এসে নাহিদ ইসলাম উদাহরণ তৈরি করেছেন। তবে অন্য দুই ছাত্র উপদেষ্টা থাকায় প্রশ্ন উঠাটাও অস্বাভাবিক না। তাদের উচিত হবে জনগণের আকাঙ্খা বাস্তবায়নে স্বচ্ছ থেকে ভূমিকা রাখা।
বলা হচ্ছে জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনার পতন কেবল একদিনের ঘটনা নয়। নতুন রাজনীতিরও সূচনা লগ্ন। জনমনে নতুন ধারার রাজনীতির যে আকাঙ্খা তৈরি হয়েছে তা ধরে রাখাই এখন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান দায়িত্ব বলেও মনে করেন বিশ্লেষকরা।
রিফাত